বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
বর্ধমান, গুসকরা, মেমারি, কালনা, কাটোয়া ও দাঁইহাট মিলিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ছ’টি পুরসভা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বর্ধমান ও গুসকরা পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেখানে প্রশাসকেরা দায়িত্বে রয়েছেন। বাকি চার পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড রয়েছে। ২০১৩ সালের পুরসভা নির্বাচনে বর্ধমান ও গুসকরা পুরসভা জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ২০১৫ সালে মেমারি, কালনা, কাটোয়া ও দাঁইহাট পুরসভায় নির্বাচনে দাঁইহাট বাদ দিয়ে সবকটিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। পুরসভা নির্বাচনের পর তিন বছর দাঁইহাটে সিপিএমের হাতে পুরবোর্ড ছিল। ২০১৮ সালে ছয় সিপিএম কাউন্সিলার এবং এক কংগ্রেস কাউন্সিলারকে দলে টেনে অনাস্থায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।
এই ছ’টি পুরসভার মধ্যে গোটা জেলায় বিজেপির মাত্র একজন কাউন্সিলার রয়েছেন! গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি বর্ধমান, গুসকরা, কালনা, কাটোয়া ও দাঁইহাটে বহু ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকায় সেই আশা এখনও জিইয়ে রয়েছে। তার সঙ্গে টিকিটের অফার দিয়ে বিজেপি জয়ের ব্যাপারে আরও এক ধাপ এগতে চাইছে। সূত্রের খবর, বর্ধমান, গুসকরা সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। সেই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি তাঁদেরকেও দলে টানতে চাইছে। এছাড়া, গত ১০ ফেব্রুয়ারি আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই আসন সংরক্ষণের ‘গেরোয়’ পড়ে এবার শাসদকদলের বহু কাউন্সিলার নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। ওই কাউন্সিলাররা অন্য ওয়ার্ডে দাঁড়ানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। কিন্তু, তৃণমূলের টিকিট না পেলে বিজেপি তাঁদেরকেও অফার দেবে।
সেই সঙ্গে তৃণমূলের অনেক পুরনো নেতা এবার দলের কাছে টিকিট দাবি করেছেন। কিন্তু, তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের সবাইকে টিকিট নাও দিতে পারেন। সেই নেতাদের এখন থেকেই টিকিটের অফার দিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এ ব্যাপারে বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, লোকসভা নির্বাচনে মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। পুরসভাতেও করবেন। মানুষের আর্শিবাদে আমাদের জয় হবে। তিনি বলেন, আমাদের দলের পুরনো সক্রিয় নেতা-কর্মী এবং নতুনদেরও টিকিট দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতা রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের দলে প্রাপ্য সম্মান পাননি। নিজেদের দলেই বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। তাঁরা যদি পুরসভা ভোটের আগে আমাদের দলে আসেন, তাহলে আমরা তাঁদের সবাইকে টিকিট দেব। তবে, টিকিট পাওয়ার জন্য তাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকতে হবে। অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডু বলেন, লোকসভা নির্বাচনে কিছু ওয়ার্ডে ওরা এগিয়ে থাকলেও পুরসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা। এই জেলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা ছ’টি পুরসভাতেই আমাদের জয়ী করবেন। বিজেপি যতই টোপ দিক, তৃণমূলের কেউই বিজেপিতে যাবে না। কিছু মানুষ লোকসভার আগে ভুল করে বিজেপিতে চলে গিয়েছিল। তারাই এখন নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরছেন। তাই বিজেপি যতই অফার দিক, ওরা তৃণমূল থেকে কোনও ‘কাস্টমার’ পাবে না।