বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
বাদুড়িয়ার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসূন চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত শনিবার এলাকার বাসিন্দারা প্রথম ডলফিনটিকে দেখতে পেয়ে তাঁকে খবর দিয়েছিলেন। তিনি বনদপ্তরকে খবর দেয়। যদিও সেদিন সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায়, কোনও উদ্ধার কাজ চালানো যায়নি। রবিবারও কোনও উদ্ধার কাজ হয়নি। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখানে যাতে কোনও খারাপ ঘটনা না ঘটে, সেই কারণেই শনিবার সন্ধ্যা থেকেই এলাকায় থানার পক্ষ থেকে পুলিস পিকেট করা হয়েছিল, যাতে কেউ ডলফিনটিকে বিরক্ত করতে না পারে। অবশেষে এদিন সকালে কলকাতা থেকে বনদপ্তরের বিশেষজ্ঞ সদস্য সুব্রত পাল চৌধুরির নেতৃত্বে দিলীপ প্রসাদ, শ্রীকান্ত চক্রবর্তী এবং সুজয় সরকারদের দলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ডলফিনটিকে উদ্ধার করা হয়। তার আগেই অবশ্য জেলার বনাধিকারিক নিরঞ্জিতা মিত্র এবং রেঞ্জার অঞ্জন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বনদপ্তরের দল গোটা এলাকাকে ঘিরে রেখেছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সাত ফুট ১০ ইঞ্চির ডলফিনটিকে দুপুর নাগাদ শেষ পর্যন্ত সুস্থভাবেই উদ্ধার করা হয়। তারপরে সেটিকে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রাকে করে সুন্দরবনের ঝড়খালিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই প্রজাতির ডলফিনগুলি খাবার এবং সঙ্গীর খোঁজে বঙ্গোসাগর পেরিয়ে সুন্দরবনের নোনা জলের নদীতে হামেশাই ঢুকে থাকে। কিন্তু, এত উপরের দিকে সাধারণত আসে না। মনে করা হচ্ছে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদী পেরিয়ে এটি কোনওভাবে ইছামতীতে ঢুকে পড়েছিল। ভাটার কারণে সেটি আর সেখান থেকে ফিরতে পারছিল না। সেই সময়েই স্থানীয়দের নজরে আসে সেটি। কাদা জলে আটকে পড়েছিল সেটি। অবশেষে এদিন বিদ্যা নদীতে ছাড়ার পর সেটিকে বেশ স্বাভাবিক ছন্দেই দেখা যায় বলে বনদপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন।