বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
শ্যমলবাবু বলেন, আমরা চাই, বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা শুশুনিয়ায় এসে কিছুটা সময় কাটাক। এখানকার পরিবেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তাঁদের কিছু ন্যূনতম চাহিদা থাকবে। সেই সমস্ত চাহিদা মিটিয়ে এই এলাকার মানুষ আয়ের সুযোগ পাবেন। তাই আমরা নতুন কিছু করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি আমাদের তরফ থেকেও কিছুটা সাহায্য করার চেষ্টা করছি।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বহিরাগত পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য পাহাড়ের কোলে হাঁপানিয়া গ্রামের কাছে কংক্রিটের একটি মুক্ত মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে জেলা পুলিস। যার পোশাকি নাম রাখা হয়েছে ‘অরণ্যের আড্ডা’। জঙ্গলঘেরা এলাকায় পর্যটনের মরশুমে আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের স্থায়ী জায়গা করা হয়েছে। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে এলাকার মানুষ তাঁদের সাংস্কৃতিক চর্চার কাজ করতে পারবেন। এদিন ওই মঞ্চে এলাকার কয়েকশো আদিবাসী মানুষ তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। শুশুনিয়া ও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ও তার ইতিহাস জানার জন্য হাঁপানিয়া, কুলবনা, গিধুডি ও ভরতপুর চারটি গ্রামে গ্রন্থাগার তৈরি করা হচ্ছে। যাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকরা বই পড়ে সময় কাটাতে পারবেন।
এছাড়াও স্থানীয় স্কুল পড়ুয়া ও চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্যও প্রয়োজনীয় বইয়ের ব্যবস্থা করছে জেলা পুলিস। স্থানীয় মহিলারাই এই গ্রন্থাগারগুলির দেখভাল করবেন। শুধু তাই নয়, এগুলিকে ক্লাব হিসেবে তৈরি করে বাইরে থেকে আসা মানুষের উপর নজরদারিও চালাবেন। লাইব্রেরিগুলিতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে। শুধু তাই নয়, আদিবাসী গ্রামগুলিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিটি বাড়ির দেওয়াল বিভিন্ন নকশায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও বহিরাগত শহুরে মানুষদের গ্রাম্য পরিবেশে রাত কাটানোর জন্য হোমস্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কুশবনা গ্রামে তিনটি বাড়িতে হোমস্টে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মার্চ মাসের গোড়ার দিকেই এই ব্যবস্থা চালু করবে জেলা পুলিস।