বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
সোমবার গোটা পরিবার নিয়ে ভারত সফরে এসে ট্রাম্পের দ্বিতীয় গন্তব্য ছিল তাজমহল। স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে তিনি যখন মুঘল-স্থাপত্যের অন্দরে ঢুকছেন তখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে সূর্য। তার রক্তিম আভায় তখন ভিজছে ধবধবে তাজমহল। জৌলুস ঠিকরে পড়ছে তাজের প্রতিটি মার্বেল থেকে। পিছনে কুলকুল শব্দে বইছে যমুনা। তাজ-দর্শনে এই মোক্ষম সময়কে হাতছাড়া করতে চাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্ত্রীর হাতে হাত রেখে তাজের সামনে এলেন ট্রাম্প। দাঁড়ালেন সেই জায়গায়, যেখানে অধিকাংশ বিদেশি পর্যটকরা এসে ছবি তোলেন। মেলানিয়ার হাত ধরে একই ফটোফ্রেমে বন্দি করলেন ট্রাম্প। শামিল হলেন ফটোশ্যুটেও। আবদারও মানলেন ফটোগ্রাফারদের। তার পর অগাধ বিস্ময়ের সঙ্গে ঘুরে দেখলেন তাজের স্থাপত্য সৌন্দর্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের তাজমহল দর্শনের ভার পড়েছিল এক গাইডের উপর। সস্ত্রীক ট্রাম্পকে ওই গাইডই ঘুরিয়ে দেখান তাজমহল। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের গাইড হওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল মার্কিন সিকিউরিটি সার্ভিস। একাধিক আবেদন জমাও পড়েছিল। ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে আবেদনকারীদের তিনজনকে বেছে নিয়েছিলেন আমেরিকার এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত দপ্তর। তাঁদের মধ্যে একজনকেই এদিন ট্রাম্পের গাইড হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ওই গাইডের সহযোগিতায় তাজমহল দর্শন করেন ট্রাম্প। কিছু দূর থেকে তাজমহল ঘুরে দেখেন ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাই জেরাড কুশনার।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত-সফরসূচি ঠিক হওয়ার পর থেকেই তাজমহলের মার্বেল পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। কয়েক’শ শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করে মুঘল আমলের এই স্মৃতিসৌধকে সাজিয়ে তুলেছেন। সাফ করা হয়েছে যমুনার জঞ্জাল-আবর্জনাও। ট্রাম্পের সফর ঘিরে এদিন সেজে উঠেছিল তাজমহলের চত্বরও। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে তৈরি ছিলেন আগ্রার মানুষজনও। আগ্রার বেশ কয়েকটি দোকানের সামনে ‘সুস্বাগতম ট্রাম্প’ বলে ব্যানার ঝুলতে দেখা গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে এই ব্যানার ঝুলিয়ে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
অযোধ্যায় মসজিদের সঙ্গেই তৈরি হবে হাসপাতাল: ওয়াকফ বোর্ড
লখনউ, ২৪ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): অযোধ্যায় সরকারের দেওয়া জমিতে শুধু মসজিদ নয়, হাসপাতালও গড়ে উঠবে। সোমবার এমনটাই জানাল উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। এদিন লখনউয়ে বৈঠক ছিল বোর্ডের। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, অযোধ্যায় যে পাঁচ একর জমি মসজিদ গড়ার জন্য সরকার বরাদ্দ করেছে, সেটি গ্রহণ করা হবে। ওই জমিতে মসজিদের পাশাপাশি একটি অত্যাধুনিক মানের হাসপাতাল ও গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি বলেছেন, ‘আমরা জমিটি নেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মত হয়েছি। ওই জমিতেই মসজিদ গড়ে উঠবে। খুব শীঘ্রই একটি ট্রাস্ট গঠন করে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সঙ্গে বিশ্বমানের হাসপাতাল ও গ্রন্থাগার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।