কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবারই সাধারণতন্ত্র দিবস বা স্বাধীনতা দিবসের আগে সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি বাড়ানো হয়। বিভিন্ন ইনপুট দিল্লিতে পাঠানো হয়। আবার সেখান থেকেও কিছু ইনপুট আসে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সম্প্রতি সীমান্ত পেরিয়ে অনেকেই বাংলাদেশে গিয়েছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রান্টিয়ারের আইজি ওয়াই বি খুরানা কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে সীমান্ত টপকানোর কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে এখনও পর্যন্ত সীমান্ত ডিঙিয়ে আসা যাওয়ার সময় ২৬৮ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। সীমান্তবতী এলাকার বাসিন্দারা বলেন, গোরু বা মোষের পাল পাচারের সময় অনেকেই বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে। তবে কী কারণে তারা সীমান্ত পার হচ্ছে তা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে রহস্য থেকে গিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জেএমবি এরাজ্যে কোথাও হামলা চালাতে পারে এমন ইনপুট তারা পায়নি। তাদের টার্গেট বাংলাদেশ। তবে তারা এরাজ্যে নেটওয়ার্ক ছড়ানো চেষ্টা করছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, জেএমবির সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা যাতে এরাজ্যের সীমান্ত দিয়ে ঢুকে দেশে হামলা চালাতে না পারে তারজন্যই বাড়তি নজরদারি দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের রানিনগর সহ বেশ কিছু এলাকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কাঁটাতার নেই। সেই পথ দিয়ে জঙ্গিরা পাচারকারীদের সঙ্গে প্রবেশ করতেই পারে বলে অনেকেরই আশঙ্কা। এছাড়া নৌকায় চড়ে পদ্মায় ভাসতে ভাসতে এসেও তারা এরাজ্যে ঢোকার পরিকল্পনা করতে পারে। তাই নদীতেও বিএসএফের স্পিড বোর্ডের টহলদারি বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কিছু দিন আগে পর্যন্ত সীমান্ত পার হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি ছিল। রাতের অন্ধকারে অনেকেই সীমান্ত এপার-ওপার করত। সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের চোখে ধুলো দিতে গোরু বা মোষের পালের মাঝে ঢুকে তারা বাংলাদেশ চলে যেত। আবার রাতের অন্ধকারে তারা হেঁটে এপারে চলে আসে। বিএসএফ সার্চ লাইট দিলেই তারা হামাগুড়ি দিতে থাকে। এক আধিকারিক বলেন, এখনও পর্যন্ত কোথাও হামলা চালানোর ইনপুট না থাকলেও সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো থাকছে। কারণ বিশেষ দিনগুলিকেও জঙ্গিরা টার্গেট করে। সীমান্তের আশেপাশে কাউকে দেখা গেলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া গ্রামগুলিতে নতুন কেউ এসে থাকতে শুরু করেছে কি না সেটাও খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। জেএমবি বাংলাদেশে নতুন করে মাথা তোলার চেষ্টা করছে। তারা সেদেশে বেশ কিছু এলাকায় ক্যাম্প শুরু করেছে। তারা যাতে এরাজ্যকে কোনওভাবে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকটাও দেখা হচ্ছে।