ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল একটি হনুমান। বাসিন্দারা কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বারবার তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছিলেন। বনদপ্তর অবশ্য গত দু’দিন ধরে নাগাড়ে চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু বাগে আনা যায়নি ওই হনুমানকে। শেষমেশ বনদপ্তরকে বর্ধমানের বিশেষ ট্রাঙ্কুলাইজার টিমের দ্বারস্থ হতে হয়। এদিন সেই টিম আসে নানুরের শেরপুর গ্রামে। বনদপ্তরের একদল কর্মীর পাশাপাশি ছিল নানুর থানার পুলিস। এমনকী, হাজির হন নানুরের বিডিও অরূপ কুমার মণ্ডলও।
তারপরই শুরু হয় হনুমান পাকড়াও অভিযান। গ্রামের মানুষও তখন বনদপ্তরের হনুমান ধরা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। এমন অবস্থায় লাফিয়ে বেড়াচ্ছিল হনুমানটি। গ্রামের এক পাশে তখন হীরু শেখের গোরুটি দাঁড়িয়েছিল। বনকর্মীরা ঘুম পাড়ানি গুলি করেন হনুমানকে লক্ষ্য করে। কিন্তু গুলি গিয়ে লাগে ওই গোরুর পায়ে। ব্যাস। তাতেই ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে গোরুটি। তা দেখেই বেজায় চটলেন গোরুর মালিক। বনদপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে চিৎকার জুড়ে দেন। ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান। পরে অবশ্য প্রশাসন আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এরপর গোরুকে ছেড়ে বনদপ্তর হনুমানের খোঁজ চালাতে শুরু করে। বনদপ্তর জানায়, গ্রামে ব্যাপক ভিড় হয়ে যাওয়ায় হনুমানটিকে তাড়িয়ে অন্য গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে কাঁকুনিয়া গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় লক্ষ্যভেদে আর কোনও ভুল হয়নি কর্মীদের। ঘুমপাড়ানি গুলি করে পাকড়াও করা হয় হনুমানকে।
বনদপ্তরের বোলপুরের রেঞ্জার কেশব চক্রবর্তী বলেন, বর্ধমান থেকে ট্রাঙ্কুলাইজার টিম এসেছিল। মানুষের ভিড় সামলে গুলি ছুঁড়তে গিয়ে গোরুর পায়ে লাগে। তবে এদিন হনুমানটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে ধরা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে বছর পঁয়তাল্লিশের আনসার শেখ বাড়ির ছাদে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। সেইসময় গাছ থেকে হঠাৎ করে লাফিয়ে হনুমানটি তাঁর ভাতের থালার সামনে চলে আসে। আতঙ্কে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হনুমানটি আনসার সাহেবকে আঁচড়ে দেয়। হাতে কামড়ে দেয়। আনসার সাহেবের মতো নওনগর কড্ডা পঞ্চায়েতের শেহালা, সিরাজপুর, সুচপুর প্রভৃতি গ্রামেও হনুমানটি তাণ্ডব চালিয়েছে।
নানুর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা শেরপুরের বাসিন্দা মনিজা বেগম বলেন, আমরা বাড়ির পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে। গ্রামের মানুষ ব্যাপক আতঙ্কে ছিলেন। বনদপ্তরকে খবর দিয়েছিলাম। এদিন ভুলবশত ঘুমপাড়ানি গুলিতে গোরু ঝিমিয়ে পড়ে। সূচপুরের সাইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হনুমানটি তাণ্ডব চালাচ্ছিল। এদিন অবশেষে ধরা পড়েছে।
নানুরের বিডিও বলেন, অনেকেই হনুমানের আঁচড়ে-কামড়ে জখম হয়েছেন। এদিন হনুমানটিকে ধরতে এসে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে একটি গোরুর গায়ে ঘুমপাড়ানি গুলি লাগে। পরে অবশ্য হনুমান ধরা পড়ে।