ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ জানুয়ারি সৌমিক মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে গোপালনগর থানার পুলিস। তাকে জেরা করে বাপন কর্মকারের নাম পায় পুলিস। বাপনই তাকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল বলে সে পুলিসকে জানায়। এরপর গোপালনগর থানার পুলিস কলকাতা পুলিসে খোঁজখবর শুরু করে। এরই মাঝে পুলিস জানতে পারে হোমগার্ড বাপন ভবানীপুর গ্রামের বাড়িতে এসেছে। বৃহস্পতিবার হোমগার্ডের বাড়িতে হানা দেয় গোপালনগর থানার পুলিস। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাপন কতদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্রের সরবরাহে যুক্ত বা এই কারবারে আরও কতজন আছে, তা এখনও পুলিস জানতে পারেনি। ধৃতকে এদিন বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিস ১০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল। কিন্তু বিচারক তিন দিন মঞ্জুর করেন। পুলিস সূত্রের খবর, ধৃত হোমগার্ড পুলিসের মালখানা থেকে নাকি কোনও কারখানার সঙ্গে যোগ রয়েছে তার, তা জানার চেষ্টা করবে পুলিস। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত কি না, তাও তদন্ত করছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই লালগড়ে ১৮টি বন্দুক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় এক পুলিস অফিসার। অস্ত্র সরবরাহে খোদ পুলিস কর্মীদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় পুলিস মহল উদ্বিগ্ন। গোপালনগরে দুষ্কৃতীদের হাতে সরাসরি আগ্নেয়াস্ত্র চলে যাচ্ছে পুলিস কর্মীদের হাত ধরে। যা ভাবাচ্ছে পুলিস কর্তাদের। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিস কর্তারা। পুলিসের সন্দেহ, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ হয়েছে।
ধৃত হোমগার্ড কর্মীর আইনজীবী অশোককুমার হালদার বলেন, আমার মক্কেলকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহে কোনও ভাবেই যুক্ত নয় সে। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চাকরি করছে। এর আগে কোনও দিন এই ধরনের অভিযোগ আসেনি। সবটাই চক্রান্ত। বনগাঁ মহকুমা আদালতের সরকারি পক্ষের আইনজীবী সমীর দাস বলেন, সৌমিককে গ্রেপ্তার করে বাপনের নাম পায় পুলিস। সেই সৌমিককে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল। তিন দিনের পুলিস হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিস তাকে জেরা করবে।