ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
পরিবেশের বিপন্নতা এবং বিশ্বজুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক মঞ্চে তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন জর্জ সোরস। সেখানেই মোদি সরকারের শাসনের সমালোচনায় সরব হন তিনি। সোরস বলেন, ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে মোদি সরকার ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে। কাশ্মীরের মতো জায়গা, যা কি না আংশিক স্বঘোষিত মুসলমানদের এলাকা, সেখানে লাখ লাখ মুসলমানকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন মোদি।’ এটা বলে আদতে তিনি যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কথা বোঝাতে চেয়েছেন, তেমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
তবে শুধু মোদি সরকার নয়, এদিন আমেরিকা, চীন, রাশিয়ার মতো দেশগুলির বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন সোরস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এমন সময় আসছে, যেখানে আমেরিকা ও চীন গোটা বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। সেইসঙ্গে নির্ধারণ হবে তামাম বিশ্বের ভবিষ্যতও। মোদিকে আক্রমণ করলেও এদিন দাভোসের মঞ্চ থেকে সোরস সবথেকে বেশি নিশানা করেছেন ট্রাম্পকে। তাঁকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে ধনকুবের বলেন, ‘উনি (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) নিজেকে নিয়েই মেতে থাকেন। তিনি চান পৃথিবী ওঁর চারিদিকে আবর্তিত হোক। ওঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতেই নিজেকে নিয়ে মেতে থাকা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি সোরস। নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে ট্রাম্প দেশকে জলাঞ্জলি দিতেও ইতস্তত করেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। ভোটে জেতার জন্য উনি যা খুশি করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছেন সোরস।