ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু করেছিল। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল, দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। এই প্রকল্পে আবেদনকারী চাষিদের বছরে তিন দফায় দু’হাজার টাকা করে মোট ছ’হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্র। একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের আর্থিক বরাদ্দ মাত্রাতিরিক্ত কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প চালু করতে দেননি। দিল্লির দয়ার দান না নিয়ে রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে বাংলার চাষিদের পাশে দাঁড়াতে গত অর্থবর্ষে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প চালু করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রের প্রকল্পে সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যায়। কিন্তু মোদি জমানায় অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ঘিরে একাধিক আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় চাষিদের হকের পাওনা দিতে বাড়তি সতর্ক হন মমতা। তাঁরই নির্দেশে চেকের মাধ্যমে বাংলার কৃষকদের আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হচ্ছে। নবান্নের কর্তাদের দাবি, দেশজুড়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া কৃষক বিক্ষোভকে চাপা দিয়ে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পার হতেই দিল্লি এই কিষাণ নিধি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। কিন্তু বাংলার নিজস্ব কৃষক বন্ধু প্রকল্প সাফল্যের নিরিখে ইতিমধ্যেই মোদির প্রকল্পকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
সূত্রের দাবি, নিয়ম-কানুনের ক্ষেত্রে নবান্ন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যতটা সম্ভব শিথিলতা দেখিয়েছে। যাতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অধীনে সর্বাধিক চাষিদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে ন্যূনতম দু’হাজার, সর্বাধিক পাঁচ হাজার টাকা পেতে পারেন যোগ্য কৃষকরা। এক্ষেত্রে এক একর বা তার কম জমি থাকা চাষিরা খরিফ এবং রবি মরশুমে এক হাজার করে মোট দু’হাজার টাকা পান। একইভাবে দু’ একর পর্যন্ত জমি থাকা কৃষকরা চাষের দু’টি মরশুমে আড়াই হাজার করে মোট পাঁচ হাজার টাকা পান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেবল চাষযোগ্য জমির মালিক কৃষকদের পাশাপাশি নথিভুক্ত ভাগচাষিরাও এই আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। যা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কৃষি দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার কৃষি ক্ষেত্রকে মেলানো যায় না। কেননা, পশ্চিমবঙ্গের কৃষি জমি ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত। এখানে বর্গাদারের পাশাপাশি অসংখ্য ভাগচাষি রয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন, কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের প্রত্যেক চাষি যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করতে। সেই লক্ষ্যেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পকে ঢেলে সাজা হয়েছে।