ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা বা ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই তৃণমূল কাউন্সিলাররা দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দেওয়াল ঘেরায় নেমে পড়েছিলেন। গত শুক্রবার জেলা প্রশাসন ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ ও ৯নম্বর তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ৪ ও ৬নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি মহিলা। ৫, ৭, ১০ ও ১৬নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি আসনগুলি সাধারণ। যার মধ্যে চারবারের জেতা ৭নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি। একইভাবে নিজের জেতা ১৬নম্বর ওয়ার্ড হাতছাড়া হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকারের। একইভাবে তিনবারের জয়ী আসনে দাঁড়াতে পারবেন না ৪নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার আব্বাস হোসেন। একই অবস্থা সংরক্ষণের কোপে পড়া বাকি কাউন্সিলারদেরও।
যদিও তৃণমূলের অনেকেই বলাবলি শুরু করেন, নিজেদের অনুগত বা বাড়ির মহিলাদের প্রার্থী করে পুরসভায় কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করবেন সংরক্ষণের কোপে পড়া প্রার্থীরা। আর বাস্তবে সেই চিত্রই এখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। সংরক্ষণের কোপে পড়া কাউন্সিলারদের কেউ নিজের স্ত্রীকে প্রার্থী পরিচয় দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। কোনও কাউন্সিলার আবার অনুগতকে প্রার্থী পরিচয় দিচ্ছেন। আবার সংরক্ষণের কোপে না পড়া কাউন্সিলাররাও পুনরায় তাঁরাই প্রার্থী হচ্ছে বলে প্রচার চালাচ্ছেন।
তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, যাঁদের প্রার্থী পরিচয় দিয়ে ওয়ার্ডে ঘোরানো হচ্ছে, পরবর্তীতে দল তাঁকে টিকিট না দিলে যেমন বিরোধিতা করবে, তেমনি ওয়ার্ডবাসীর কাছেও ভুল বার্তা যাবে। যার ফায়দা তুলবে বিরোধীরা। সেটা কোনওমতেই হতে দেওয়া যাবে না। পুরভোটে কোনও ইস্যুতেই বিরোধীদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না।
স্বভাবতই দলের কাউন্সিলারদের এই কার্যকলাপে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই জরুরি ভিত্তিতে দলের কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠকে বসতে বাধ্য হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে শহর কমিটির সদস্যরা ছাড়াও কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবব, সেখানে এধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য কাউন্সিলারদের সতর্ক করা হয়েছে। শহর সভাপতি বলেন, মিটিংয়ে নিজেকে বা অন্য কাউকে প্রার্থী পরিচয় দিয়ে প্রচার করা চলবে না বলে কাউন্সিলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম তুলে ধরে প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রার্থী ঠিক করবে দল। যোগ্যতম প্রার্থী হোক সেটাই আমরা চাইছি। কেউ যদি নিজেকে নিজেই প্রার্থী হিসেবে প্রজেক্ট করেন বা অন্য কাউকে দিয়ে প্রজেক্ট করান তাহলে তাঁদের প্রার্থীপদ থেকে বাতিলের সুপারিশ করব। কারণ, দলের কর্মীদেরও মতামতের গুরুত্ব দিতে হবে। এটাই দলের নির্দেশ। সেটাই মেনে চলতে হবে কাউন্সিলারদের।