সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ জেলা পরিষদের খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মেচগ্রামে একটি পেট্রলপাম্পে নিজের গাড়ি রেখে পাঁশকুড়া-ঘাটাল রাস্তা ধরে হেঁটে ওই দোকানে যান। হাতে একটি নাইলনের ব্যাগ ছিল। মাথায় ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া চুল, পরনে ছিল সাদামাটা পোশাক। দোকানে গিয়ে দেখেন, উপভোক্তারা ভিড় করে রয়েছেন। দোকানে সেই মুহূর্তে কেউ নেই। ১৫মিনিট পর এমআর ডিলার আসেন। এরপর উপভোক্তারা কার্ড জমা করতে থাকেন। সিরাজ সাহেব নিজে কয়েকটি কার্ড জমা করেন। এরপর একটি জানালার ধারে তিনি দাঁড়াতেই দোকানদার খেঁকিয়ে ওঠেন। সেখান থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চড়া সুরে ধমকান। ধমক খেয়ে আস্তে আস্তে জানালার কাছ থেকে সরে যান কর্মাধ্যক্ষ।
ওই এমআর ডিলারের এক ভাই আবার কেরোসিনের এজেন্ট। এদিন কেরোসিন দেওয়ার সময় দেখা যায়, তেলমাপক যন্ত্রের নীচের অংশ তুবড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ছদ্মবেশী সিরাজ খান প্রতিবাদ করেন। তখন এমআর ডিলার কড়কে দেওয়ার সুরে বলেন, আপনি বলার কে? কোনও অভিযোগ থাকলে বিডিও অফিসে যান। এরপর ওজনেও কারচুপির ছবি ধরা পড়ে। নিজেকে আর সামলাতে না পেরে কর্মাধ্যক্ষ পরচুলা খুলে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন। উপস্থিত উপভোক্তার তখন এমআর ডিলারের বিরুদ্ধে তাঁরা গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে রেহাই পান ওই এমআর ডিলার।
সিরাজ খান বলেন, ওই এমআর ডিলার উপভোক্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে আমার কাছে খবর ছিল। ওজনে কারচুরি করার অভিযোগও ছিল। সেজন্য আমি ছদ্মবেশে ওর দোকানে গিয়েছিলাম। অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়। দোকানে গিয়ে দেখি, অনেক উপভোক্তা দাঁড়িয়ে আছেন। দোকানে কেউ নেই। ঘরের ভিতর জানালার চারটি পাল্লার মধ্যে একটি খোলা রেখে জিনিসপত্র দেওয়া হচ্ছি। কার্ড ধরে ডাকার সময় সেই আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল না। তেল মাপার যন্ত্র তুবড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করতেই বলছেন, বিডিও অফিসে চলে যান। উপভোক্তাদের মানুষ বলে মনে করেন না উনি। ওঁকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই এমআর ডিলার অবশ্য এদিন সংবাদ মাধ্যমে সামনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, কর্মাধ্যক্ষের এই ভূমিকায় উপভোক্তারা খুশি।