সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৫মিনিট নাগাদ আগুন লাগার পর সাইরেন বাজিয়ে সারা পেট্রকেম কারখানা চত্বরে হাই অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন আগুন নেভার পর থেকে দ্রুতগতিতে প্ল্যান্ট পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে জখমদের চিকিৎসা পরিষেবা দেখভালের বিশেষ টিম তৈরি করেছে পেট্রকেম।
হলদিয়া পেট্রকেমের প্ল্যান্ট হেড অশোককুমার ঘোষ বলেন, পেট্রকেমে আগুন নিভে গিয়েছে। তবে ন্যাপথা ক্র্যাকার প্ল্যান্টে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ভাল্ব ফেটে যে বিপত্তি ঘটেছিল, তার মেরামতির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। ইতিমধ্যেই মেরামতির জন্য টেন্ডার ডেকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়ে গিয়েছে। চেন্নাই থেকে বিশেষ ধরনের ওই ভাল্বটি প্লেনে করে আনা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে কাজের জন্য এদিনই সেই ভাল্বটি প্লেনে তোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ওই ভাল্বটি লাগানো হবে।
তিনি বলেন, ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিট শাটডাউন করা হয়েছে। কিছু মেন্টেনেন্স কাজের পর ৩-৪দিনের মধ্যেই ওই ইউনিট চালু হবে আশা করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক উৎপাদন শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করা হচ্ছে, যারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ‘অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্ট’ তৈরি করবে। অন্যদিকে, অগ্নিদগ্ধ কর্মচারী ও আধিকারিকদের সম্পর্কে তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে জখমদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁরা কলকাতার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যতটা ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব, সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছে পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসরা তাঁদের চিকিৎসা করছেন। এজন্য সংস্থার তরফে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে।
পেট্রকেম সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিদগ্ধদের বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়স্বজনকে গাড়ি করে হলদিয়া থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংস্থার তরফে তাঁদের কলকাতায় থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পেট্রকেমের হোলটাইম ডিরেক্টর সুভাষেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং এমসিপিআইয়ের হোলটাইম ডিরেক্টর ডিপি পাত্র হাসপাতালে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পেট্রকেমের ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিটে আগুন লেগে ১৩জন অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে সাতজন সংস্থার স্থায়ী কর্মী ও আধিকারিক এবং ছ’জন ঠিকাদারের শ্রমিক কর্মচারী। এই ছ’জনের মধ্যে পাঁচজন হলদিয়া পেট্রকেমের উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্য। জানা গিয়েছে, জখমদের মধ্যে দু-তিন জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের শরীরের ৮০-৯০শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। জখমদের পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এদিন বিকেলে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, হলদিয়ার সিপিএম নেতা শ্যামল মাইতি ও পেট্রকেমের সিটু নেতা দেবাশিস মাইতি জখমদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।