বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
শনিবার সকালে মেদিনীপুর সদর ব্লকের খাঙারডিহি গ্রামে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ বিজেপির কর্মীরা যখন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করছিলেন, সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের উপর বোমা ছোঁড়ে। তাতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই পড়ুয়া জখম হয়। জখম হয়েছেন বিজেপির পাঁচ কর্মীও। ওই শিশু সহ তিনজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিস যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বিষ্ণু মণ্ডল বলেন, আমার মেয়ে মিতালি স্কুলে গিয়েছিল। বোমার আওয়াজ শুনে সে বাইরে বেরিয়ে আসে। তখনই সে বোমার আঘাতে জখম হয়। খবর শুনে আমি স্কুলে গিয়ে দেখি তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, দলের কর্মীরা যখন পতাকা তুলছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। আমাদের পাঁচজন কর্মী জখম হন। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের মেদিনীপুর মেডেক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিসের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। জখমদের হাসপাতালে আনতেও বাধা দেওয়া হয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, আমাদের কেউ কোথাও কোনও আক্রমণ করেনি। আসলে বিজেপি সিপিএমের হার্মাদদের নিয়ে এলাকা দখলের রাজনীতি শুরু করেছে। সব জায়গায় অশান্তি বাধাচ্ছে। এদিন গ্রামের মানুষ অশান্তি প্রতিহত করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার কেশপুরে দলের নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল আছে। সেই কর্মসূচি বানচাল করার জন্য বিজেপি অশান্তি বাধাবার চেষ্টা করছে। পুলিস জানিয়েছে, একটা ঘটনা ঘটেছে। দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এদিনই দাঁতনের ঘোলাই মোড়ে তর্কাতর্কি, বচসা থেকে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় দু’পক্ষের সাতজন জখম হন। হপন হাঁসদা নামে এক বিজেপি কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতা রেফার করা হয়। তাঁর মাথায় টাঙির কোপ লেগেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি বাধে। বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মোশাফ মল্লিক অবশ্য বলেন, কোনও সংঘর্ষ হয়নি। এদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে দলের কর্মসূচি ছিল। হঠাৎ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা টাঙি, বল্লম নিয়ে হামলা করে। আমাদের পাঁচজন কর্মী জখম হন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। একজনের মাথায় টাঙির কোপ মারা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক বিক্রম প্রধান বলেন, আমাদের কর্মীরা হামলা করেনি। বিজেপি কর্মীরা আমাদের কর্মীদের উদ্দেশে কটূক্তি করতে থাকেন। দল সম্পর্কে নানা কথা বলতে থাকেন। আমাদের কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে বচসা হয়। সেখান থেকেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। অমাদেরও দুই কর্মী গুরুতর জখম হন।