বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, ঝাঁটিপাহাড়িতে কিছু লোক লোকসভা ভোটের পর দলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে মাতামাতি করছে। মণ্ডল সভাপতিকে না জানিয়ে নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি করা শুরু করেছে। তা নিয়ে সামান্য বচসা হয়ে থাকতে পারে। তবে পৃথক পার্টি অফিস খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
বিজেপির ছাতনা-২ মণ্ডল সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ঝাঁটিপাহাড়িতে বিজেপির একটিই মণ্ডল পার্টি অফিস রয়েছে। দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠী নেই। তাই অপর কোনও পার্টি অফিস খোলার মতো কেউ নেই। যদি কোথাও শাখা অফিস খোলার প্রয়োজন হয় সেটা মণ্ডল নেতৃত্বের অনুমতিতেই খোলা হবে। আসলে বিজেপিতে কাতারে কাতারে মানুষ চলে আসছে দেখে অন্য দলের নেতাদের গাজ্বালা হচ্ছে। তাদেরই মদতে কেউ কেউ দলের নামে পৃথক কর্মসূচি করে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। তবে দল তাতে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাঁটিপাহাড়ি বাজারে বর্তমানে বিজেপির মণ্ডল পার্টি অফিস রয়েছে। সেখান থেকে আড়রা, জিড়রা, ধবন ও চিনাবাড়ি এই চারটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় মণ্ডল স্তরে দলীয় সমস্ত কাজ পরিচালনা করা হয়। লোকসভা ভোটে ওই মণ্ডল এলাকায় তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। এমনকী অন্যান্য দল থেকেও বহু কর্মী এসেছে। তাঁদেরই একাংশ এলাকায় সমান্তরালভাবে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নব্য এই বিজেপি কর্মীদের একাংশ কর্তৃত্ব ফলানোর উদ্দেশ্যে ঝাঁটিপাহাড়ি বাজারেই আরও একটি পার্টি অফিস খোলার উদ্যোগ নেয়। এদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস পালনের মাধ্যমে ওই পার্টি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো এদিন সকালে তোড়জোড় শুরু করতেই আদি বিজেপি কর্মীদের একাংশ তার প্রতিবাদ করে। তাতেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে অবশ্য দলেরই একাংশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।