বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রানাঘাট কলেজে বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে এবিভিপি সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। অভিযোগ, এবিভিপি সর্মথকরা অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে টিএমসিপির বহিরাগতরা তাদের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে বাইরে অপেক্ষারত এবিভিপির সমর্থকরা কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন পুলিস তাদের বাধা দেয়। এরপরই পুলিসের সঙ্গে এবিভিপির ছাত্রদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ঘটনায় সাতজন পুলিস কর্মী ও এবিভিপির ২ জন সদস্য জখম হন। পুলিস লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় পুলিস স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করে ছ’জন এবিভিপি সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম মিষ্টু দাস, অমিতকুমার বিশ্বাস, অনুপ সাহা, প্রসেনজিৎ অধিকারী, দেবু সরকার, অরিন্দম ঘোরুই। ধৃতদের নামে পুলিসের কাজে বাধা দেওয়া, আক্রমণ করা, মারধর করা সহ একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের সকলকেই তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে গোটা বিষয়টিকে টিএমসিপির চক্রান্ত বলে দাবি করেছে এবিভিপি। এবিভিপি নদীয়া জেলা দক্ষিণের সভাপতি আশিস বিশ্বাস বলেন, টিএমসিপি সাংগঠনিকভাবে আমাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না, তাই পুলিসকে কাজে লাগিয়ে এই নোংরা কাজগুলো করছে। পুলিসও মিথ্যা অভিযোগে আমাদের দলের সদস্যদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে, আমরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে আমাদের অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। নানাদিক থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরাও বলছি, অবিলম্বে যদি ওই ছ’জনকে না ছাড়া হয়, তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। অন্যদিকে, টিএমসিপির রানাঘাট কলেজের জিএস শুভজিৎ ঘোষ বলেন, পুলিসের সঙ্গে ওরা যা ব্যবহার করেছে, তাতে পুলিস যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। আমাদের এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।