কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা আসনে তৃণমূল জিতলেও বহু অঞ্চল ও বুথে পরাজিত হয়েছে। এমনকী জেলার পাঁচটি বিধানসভা ও একাধিক পুরসভা এলাকায় শাসকদলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এদিকে শক্তি বৃদ্ধি হওয়ায় জেলাজুড়ে বিজয়োল্লাসে মেতেছে গেরুয়া শিবির। তার উপরে দলে ভাঙন শুরু হওয়ায় শাসকদলের কর্মীদের মনোবল তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই কোনও নেতাকে তিরস্কার করার বদলে কর্মীদের উজ্জীবিত করে ঘর গোছানোর দিকেই জোর দিয়েছে শাসকদল। এদিন জেলা কমিটির বৈঠকে দলের জেলা পর্যবেক্ষকের গলায় এমনই সুর শোনা গিয়েছে।
বক্তব্যের শুরুতেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, জেলা মিটিংয়ে এসে সবাই গম্ভীর হয়ে রয়েছেন কেন? মুখে হাসি নেই। বিজেপির দু-চারটে বিজয় মিছিল দেখে এত ম্লান হয়ে গিয়েছেন কেন? তারা এমনভাবে বিজয় মিছিল করছে যেন শতাব্দী রায় ও অসিত মাল জেতেননি। তিনি বলেন, আপনাদের গর্ব করার দিন। কারণ, মোদির হাওয়া অনেক জায়গায় ঢুকলেও বীরভূমে লৌহমানবকে সঙ্গে নিয়ে আপনারা লড়াই করে সেই হাওয়া আটকে দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে আবেগ থাকবে। এখন বসে থাকা, মুখ লুকনো বা বিষাদের সময় নেই। এখন লড়াই করার সময়। ৩৪বছর সিপিএম ছিল। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই করতে করতে সিপিএমকে আট বছর আগে সরিয়েছি। এরপর সামনে কোনও লড়াই ছিল না। বোর হয়ে যাচ্ছিলাম। শুধু মন্ত্রী হয়ে গাড়ি চেপে ঘুরে বেড়াব, মিটিং মিছিল করব না। মানুষের সমস্যা নিয়ে লড়ব না, তাহলে রাজনৈতিক কর্মী হয়ে লাভ কী। তাই আবার একটা লড়াই করার সুযোগ পেয়েছি। বাংলায় শিল্প, সংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার লড়াই করতে হবে। বাংলার অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে বীরভূম জেলাকে আমরা চাই। আমরা কিছুতেই বাংলাকে গুজরাত বা মধ্যপ্রদেশ হতে দেব না।
এরপরই মনিরুল ও গদাধরের নাম না করে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় মীরজাফর থাকে। তারা চলে যাওয়ায় পাপ মুক্তি হয়েছে। যখন ঝড়ে জাহাজ সমুদ্র্রের জলে টলমল করে, তখন ডুবে যাওয়ার ভয়ে ইঁদুরগুলো লাফায়। তারা জানে না জাহাজ থেকে লাফিয়ে সমুদ্র্রের অথৈ জলে পড়ে ডুবে মারা পড়তে হবে। যিনি শক্তিশালী নাবিক হন, তিনি জাহাজটাকে শক্ত হাতে ধরে পার হয়ে যান। তখন নাবিক নিজে যুদ্ধ জয়ের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে যান। তাই আপনারা নাবিক হবেন, নাকি ইঁদুর হয়ে সমুদ্রে লাফ দেবেন? যখন ২১ জুলাইয়ের আন্দোলনে ভয় পাইনি। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ভয় পাইনি। তাহলে দুষ্টু সিবিআই, ছোট্ট ইডি কী করবে। লবডঙ্কা! তাই আমাদের সামনে লড়াইয়ের সময় এসেছে। আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে।
ফিরহাদ সাহেব বলেন, এখন আরএসএস বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম হয়ে গিয়েছেন। তাহলে তারাপীঠ, বক্রেশ্বর, কঙ্কালীতলায় এত টাকা খরচ করে কেন উন্নয়ন করলেন মমতা। আসলে একটা সুড়সুড়ি তুলে সমাজটাকে আলাদা করতে চাইছে। ওরা বাংলার মানুষকে গোলাম বানাতে চাইছে। পরে তিন বছর আগে সিউড়ির মানুষকে দেওয়া জল প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারায় এদিন ক্ষমা চেয়ে নেন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার অপদার্থতা ও কাজের চাপের জন্য হয়নি। আমি উদ্যোগ নিচ্ছি যাতে সিউড়ি পুরসভার সমস্ত মানুষ জল পান। আমি আপনাদের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম।