কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ডিসি অভিষেক মোদি বলেন, ওই ঘটনায় ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাতেও রাজনীতির রং লাগে। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকদের মধ্যে কয়েকজনকে এলাকার কাউন্সিলার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন। কাউন্সিলার মৃগেন পাল বলেন, বিজেপি গণ্ডগোল করেছে। অথচ পুলিস আমাদের ছেলেদের গ্রেপ্তার করেছে। আমরা কী হাতে চুড়ি পরে বসে থাকব। স্থানীয় বিজেপি নেতা কানাই দত্ত বলেন, নটু নামে যে তোলাবাজকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে, সে এলাকার কাউন্সিলারের খাস লোক। এই ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়। তবুও পুলিস আমাদের কর্মী-সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এক যুবক তালতলা বস্তির কাছে গ্যারেজে বাইক নিয়ে যান। তাঁকে সেখানকার একজন গাঁজা আনতে বলে। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। এরপরে ওই যুবক পাড়ায় ফিরে সেকথা জানান। পাড়ার লোকজন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি থানায় জানান। তখন পুলিস চাপে পড়ে ওই এলাকার এক যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। সে বহুবার এর আগে বিতর্কে জড়িয়েছে। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে দাদাগিরি চালানোয় এতদিন পুলিস তাকে গ্রেপ্তারের সাহস দেখাত না বলে অভিযোগ। কিন্তু চাপে পড়ে ওই রাতে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করায় তার অনুগামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা ফাঁড়ি চত্বরে জমায়েত হয়ে লাগাতার ইট ছুঁড়তে থাকে। পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকায় তাদের সঙ্গে এলাকার আরও অনেকেই ফাঁড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। পুলিস প্রাণভয়ে ফাঁড়ির ভিতরে আশ্রয় নেয়। ডিসি অভিষেক মোদির নেতৃত্বে সেখানে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পৌঁছয়। এরপর দুষ্কৃতীরা রাস্তার দু’পাশে আলো নিভিয়ে বোমাবাজি করতে থাকে। পুলিস কোনও রকমে গভীর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মদ ও গাঁজা বিক্রি হয়। দিনরাত সবসময় সেখানে নেশার সামগ্রী বিক্রি হলেও পুলিস কোনও পদক্ষেপ নেয় না। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েই টের পাওয়া গিয়েছে। ফাঁড়ি থেকে কিছুটা দূরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখা গেল জলের বোতলে মদ কিনে নিয়ে যাচ্ছে একজন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিস মদ ও গাঁজা বিক্রি বন্ধ করলে এতবড় অশান্তি হতো না। রাতে গণ্ডগোলের পর শনিবারও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে ছিল। ফাঁড়ির উল্টো দিকে নিশানহাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, লোকজন পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে। তাদের দাবি, গণ্ডগোল পাকিয়েছিল অন্য এলাকার লোকজন। অথচ পুলিস তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নিশানহাটের বাসিন্দাদের গ্রেপ্তার করেছে।