গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাতে সিকিমে হ্রদ বিস্ফোরণের জেরে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে তিস্তা। ৪ অক্টোবর তিস্তার ছোবলে গজলডোবায় ব্যারেজের গাইড বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার অংশ ধুয়ে যায়। কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট বাঁধ মেরামতির কাজে হাত দিয়েছে সেচদপ্তর। সংশ্লিষ্ট নির্মীয়মাণ প্রকল্পের জন্য নদীর জল শুকোতে হচ্ছে। আগামী কাল, শনিবার সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করবেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা জানান, ব্যারেজে গেটের সংখ্যা ৪৫টি। বাঁধ মেরামতি প্রকল্পের জন্য প্রায় সবগুলি গেট খুলে নদীর জল কমানো হবে। তা না হলে আসন্ন বর্ষার মরশুমের আগে সেই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। মেয়র বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প নিয়ে সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় একমাস সময় দরকার। আমাদের অনুরোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ১৫ দিনের মধ্যে সেই কাজ শেষ করবে। এজন্য তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নির্ণাণ কাজ করবে।
এদিকে, তিস্তার জলের উপর নির্ভরশীল পুরসভার ফুলবাড়ি জলপ্রকল্প। তিস্তা নদী থেকে তিস্তা-মহানন্দা লিঙ্ক ক্যানেলের মাধ্যমে জল পাঠানো হয় ওই প্রকল্পে। কিন্তু তিস্তা ব্যারেজের সমস্ত লগগেট খুলে নদী ড্রাই করা হলে ক্যানেলে জল পৌঁছবে না। যারজেরে দুই-তিনদিনের মধ্যেই শুকিয়ে যাবে ক্যানেল। তা হলে প্রয়োজনীয় জল পরিস্রুত করে পুরসভা সরবরাহ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে শহরে মাইকিং করছে পুরসভা।
বৃহস্পতিবার মেয়র সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আগামী ১৫ দিন তিস্তা নদী থেকে জল মিলবে না। যারজন্য শহরে জল সরবরাহ ব্যাহত হবে। শুধুমাত্র মহানন্দা নদীর জল পরিস্রুত করে শহরে বিলি করা হবে। তাছাড়া জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কাছ থেকে পাঁচটি জলের ট্যাঙ্ক নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শহরে নামানো হবে ২১টি ট্যাঙ্ক। শহরের পাঁচটি বরোর মাধ্যমে দিনে জলের তিন হাজার করে পাউচ বিলি করা হবে। প্রায় এক লক্ষ পাউচ বিলির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এই ক’দিন যাতে কেউ জলের অপচয় না করেন, সেজন্য সকলকে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি পুরভবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে। যার ফোন নম্বর ৭৫৫৭০৩৫১৯৪। যেকোনও সমস্যা নিয়ে নাগরিকরা সংশ্লিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই সমস্যার জন্য বিগত পুরবোর্ডকে দায়ী করেন মেয়র। তিনি বলেন, বিগত পুরবোর্ড বিকল্প ইন্টেক ওয়েল ও পন্ড তৈরি করলে এই সমস্যা হতো না। তিস্তা ব্যারেজ সংস্কারের সময় সেই বিকল্প পন্ড ও ইন্টেক ওয়েল কাজে লাগানো যেত। এবার আমরা সেই বিকল্প ইন্টেক ওয়েল ও পন্ড তৈরি করছি। এজন্য ৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকা খরচ হবে। ইতিমধ্যেই পুনে থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সরঞ্জাম আনা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজও শেষ হবে।
মেয়র ছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে পুরসভার জল বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত উপস্থিত ছিলেন।