গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
দীর্ঘদিন আগে রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবায় বানানো হয় তিস্তা ব্যারেজ। এই ব্যারেজ রক্ষা করার জন্য নদীর বাঁ হাতে তৈরি করা হয় গাইড বাঁধ। পাশে সেচদপ্তরের হাওয়ামহল, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘ভোরের আলো’ পর্যটন কেন্দ্রের ঝিল, কটেজ। গতবছর অক্টোবরে সিকিমের হ্রদ বিস্ফোরণের জেরে বিধ্বংসী রূপ নেয় তিস্তা নদী। সেসময় সংশ্লিষ্ট গাইড বাঁধের দেড়শো মিটার অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। নদীর গতি পথও কিছুটা পরিবর্তন হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সহযোগিতার আর্জি জানান রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা। তাঁরা এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা, বিধায়ক ও এমপিদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। এতকিছুর পর কোনও লাভ হয়নি।
সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা জানান, গাইড বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ কয়েক দিন আগে মেরামত করার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইটের দেওয়াল তৈরি করা হবে। এজন্য নদীর জল শুকিয়ে সেখানে অস্থায়ী একটি বাঁধ তৈরি করা হবে। ইটের দেওয়াল তৈরির পর সেখানে মাটি ও বালির বস্তা দেওয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে খরচ হবে প্রায় ছ’কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার নয়, রাজ্য সরকার এই অর্থ বরাদ্দ করেছে। এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে না পারলে বর্ষার মরশুমে ফের ভয়াবহ রূপ নিতে পারে তিস্তা। তখন ভোরের আলো প্রকল্পের কটেজ, ঝিল, হাওয়ামহল, ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা। এদিকে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এই ইস্যুতে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কামান দেগেছে তৃণমূল। দলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, বিজেপি কখনওই বাংলার মানুষের কথা ভাবে না। এজন্য ওরা ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। এমনকী সিকিম বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতির টাকা দেয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, বিজেপি বাংলার ভালো চায় না। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য ভাবেন। তাই কেন্দ্রের ভরসা না করে তিনি বাঁধ মেরামতির টাকা বরাদ্দ করেছেন। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক বিজেপির আনন্দময় ঘোষ পাল্টা বলেন, সিকিম বিপর্যয়ের পর পদ্ধতি মেনে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অর্থ চায়নি রাজ্য সরকার। তাই ওরা সেই অর্থ পায়নি। তাছাড়া বর্তমান রাজ্য সরকারের চরিত্র সকলের জানা। এরা সরকারি অর্থ অনিয়মে জর্জরিত।