নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ভোট মিটলেও বিরাম নেই প্রার্থীদের। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় মালদহের দুটি লোকসভা আসনের ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবে মিটেছে। তবে বুধবার প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীরা দিনভর ব্যস্ততার মধ্যেই কাটিয়েছেন। কেউ কেউ অবশ্য বাড়িতেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন। গত এক মাস ধরে টানা প্রচার চালানোর পরেও এদিন তাঁরা বিশ্রাম নেননি। কেউ দিনভর স্ট্রং রুমে কাটিয়েছেন। কেউ আবার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। 
উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু দিনভর দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। এদিন তিনি মালদহ কলেজে স্ট্রং রুম খতিয়ে দেখতে যান নির্বাচনী এজেন্ট ও দলের কর্মীদের নিয়ে। খগেনবাবু বলেন, ইভিএম পৌঁছে যাওয়ার পরেও মালদহ কলেজের স্ট্রং রুম সিল করা হয়নি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানাব। তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়ে ইভিএম পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।
ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সকালেই মালদহ কলেজের স্ট্রং রুমে উপস্থিত হন। সেখানে তাঁর সঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস, ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন সুমালা আগরওয়াল সহ অন্যরা ছিলেন। তিনি স্ট্রং রুম পরিদর্শনের পর মালদহ কলেজ ময়দানে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। প্রসূনবাবুকে এদিন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। জেতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থী। ইভিএম পরিবর্তন নিয়ে খগেনবাবুর অভিযোগের কোনও উত্তর অবশ্য প্রসূনবাবু দিতে চাননি। বিষয়টি প্রশাসনের এক্তিয়ারভুক্ত বলে তিনি জানিয়েছেন। 
এদিকে, ওই কেন্দ্রের বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী মোস্তাক আলম সারাদিন হরিশ্চন্দ্রপুরেই কাটিয়েছেন। এদিন ভোরেই তিনি ঘুম থেকে উঠেছেন বরাবরের অভ্যাসমতো। বাড়ির পাশে দলীয় কার্যালয়ে দলের কর্মী সমর্থকরা ভিড় জমান। তাঁদের সঙ্গে তিনি খোশমেজাজে কথা বলেছেন। অনেক কর্মী ফোন করেছেন। সবার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। মোস্তাক বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ি ফিরেছি। এদিন ভোরেই ঘুম থেকে উঠেছি। কর্মীরা এসেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। 
দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান এদিন সকাল থেকেই দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তিনি দলের একাধিক কার্যালয়ে যান। মাঝে মালদহ পলিটেকনিকের স্ট্রং রুমে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পরে দলের নির্বাচনী এজেন্ট সহ অন্যান্যদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। কোন কোন বিধানসভা এলাকায় দল কেমন ফল করতে পারে সেব্যাপারে তিনি আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেন। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমাদের দলের পক্ষে ভালো ভোট হয়েছে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী এদিন কোতোয়ালির বাড়িতে দলের কর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে হালকা মেজাজে আড্ডা মারেন। তিনিও স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার ব্যাপারে খোঁজ নেন। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নির্বাচন এজেন্ট সুব্রত কুণ্ডু বলেন, এদিন প্রার্থী বাড়িতে বসেই ভোটের পর্যালোচনা করেছেন। আমি তাঁর হয়ে পলিটেকনিকে স্ট্রং রুমে যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ করেছি।