গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এবার যে প্রথম দশে থাকবেন, বিশ্বাস ছিল এই কৃতীর। মাধ্যমিকে অল্পের জন্য পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সফল হতেই হবে। নিয়মিত পড়াশোনায় সাফল্য এসেছে। বাংলায় ৯৯, ইংরেজিতে ৯৮, ভূগোলে ৯৮, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৮, মিউজিকে ৯৯। পাঁচটি বিষয়ে ৪৯২ পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন তিনি।
বাবা প্রান্তিক সরকার মেয়ের স্কুলেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক। মা গৌড় মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা। ঠাকুরদা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বাবা, মায়ের সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে নিয়মিত চর্চায় ঝোঁক ছিল সুপ্তোত্থিতার। মায়ের মতো অধ্যাপিকা হতে চান তিনি। পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সুপ্তোত্থিতার মন্তব্য, পড়াশোনা তিনটি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। টিউশনে শিক্ষক যে বিষয়টি পড়াতেন, বাড়িতে ফিরে সেটাই ভালো করে মুখস্থ করতাম। পরে সেই পড়া ভালো করে রিভিশন করতাম। ছয় জন শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করতাম। পড়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় ছিল না। চারটে বিষয় মুখস্ত করে তারপর ছাড়তাম। টেস্টের পর প্রত্যেক বিষয়ে প্রচুর মক টেস্ট দিয়েছিলাম। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনার পর অবসর সময়ে গান, আবৃত্তি চর্চা করতে ভালো লাগত। এই কৃতিত্ব বাবা, মা সহ স্কুলের ও টিউশনের শিক্ষক শিক্ষিকা, পরিবারের সদস্য, শুভাকাঙ্খীদের উৎসর্গ করলাম। পরবর্তীতে মায়ের মতো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে এই সুসংবাদ পেয়ে তাঁরই লেখা গান গেয়ে গেয়ে সুপ্তোত্থিতা মুগ্ধ করলেন বাড়িতে উপস্থিত সবাইকে। উচ্ছ্বসিত মা ও বাবা বলেন, মেয়ের পড়াশোনায় উৎসাহ দেখে বুঝেছিলাম খুব ভালো ফল করবে। ছোট থেকেই যে কোনও বিষয়ে জানার খুব আগ্রহ তাঁর। ঘুরতে খুব ভালবাসেন।