গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
মনস্বী কোচবিহারের ভেনাস স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তিনি কলা বিভাগের ছাত্রী। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কত্থক নাচে বিশেষ পারদর্শী। সেই সঙ্গে ইংরেজির প্রতি তাঁর বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। তাই আগামী দিনে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করে অধ্যাপনা করা ও সেই সঙ্গে নাচও চালিয়ে যেতে চায় মনস্বী। প্রতীচী রায় তালুকদার চিকিৎসক হতে চান। সেই লক্ষ্যে প্রতীচী ইতিমধ্যেই নিট পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রতীচী উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলা ও ইংরেজিতে ৯৭, অঙ্ক ও কেমেস্ট্রিতে ১০০ করে এবং বায়োলজিতে ৯৯ নম্বর পেয়েছেন।
মনস্বী ইংরেজি ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ৯৮ করে, অর্থনীতি ও দর্শনে ৯৯ করে এবং ভূগোলে ৯৭ নম্বর পেয়েছেন। মনস্বীর বাবা রানা চন্দ ভেটেনারি চিকিৎসক। মা সুজাতা চন্দ গৃহবধূ। মনস্বীর এমন ফলে বাড়িতে খুশির হাওয়া। প্রতিবেশীরা চন্দ দম্পতির বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। দুই ছাত্রীর অভাবনীয় ফলে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী সুনীতি অ্যাকাডেমিতে খুশির হাওয়া ছড়ায়। সুনীতি অ্যাকাডেমি থেকে চিরকালই ভালো ফল হয়। গত কয়েক বছরও মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীরা ভালো ফল করে আসছেন। এবারও দুই ছাত্রীর উল্লেখযোগ্য ফল নজর কাড়ল সকলের। সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী মনস্বী বলেন, চতুর্থ শ্রেণি থেকে আমি এই স্কুলেই পড়েছি। যখন যেমন মনে হতো, তেমনভাবে পড়াশোনা করতাম। ছ’জন গৃহশিক্ষক ছিলেন। ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে অধ্যাপনা করার ইচ্ছে। নাচে আমার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। নাচ নিয়েও এগনোর ইচ্ছে আছে।
সুনীতি অ্যাকাডেমির টিআইসি মৌমিতা রায় বলেন, প্রতীচী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে রাজ্যে চতুর্থ ও মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে। স্কুলের অপর ছাত্রী মনস্বী চন্দ রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। মনস্বী কলা বিভাগের ছাত্রী। এরা স্কুলে বরাবরাই ভালো ফল করত। আমাদের স্কুল থেকে বোর্ডের পরীক্ষার ফল ভালো হয়। এরআগে ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছ’জন স্থান পেয়েছিল। ২০২২, ২০২৩ সালেও উচ্চ মাধ্যমিকে আমাদের স্কুলের ছাত্রীরা মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল। প্রতীচী ও মনস্বীর এমন ফলে খুবই ভালো লাগছে। নিজস্ব চিত্র