গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
শহরের বাইরে মাঝেরডাবরি চা বাগানের কেনা জমিতে এসডব্লুএম প্রকল্পের উদ্বোধনের পর পুরসভা ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি নীল-সবুজ বালতি বিলি করা শুরু করে। জঞ্জাল সংগ্রহ করে রাখতে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরসভা মাত্র ৮টি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি বালতি বিলি করে। এখনও বাকি ১২টি ওয়ার্ডে পুরসভা বালতি বিলির কাজ শুরুই করতে পারেনি।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, ভোট ঘোষণার আগেই এসডব্লুএম প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তারপরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বালতি বিলির কাজও শুরু হয়। এটি একটি অন গোয়িং প্রকল্প। কোনওভাবেই ভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না প্রকল্পটি। কিন্তু বিজেপি ভোটের আচরণবিধির অজুহাত দিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। তাই বালতি বিলির কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ভোটের ফল বের হওয়ার পরেই বালতি বিলির কাজ শেষ করা হবে। তারপরেই শহরের আবর্জনা প্রকল্পের জায়গায় যাবে। যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, পুরসভা জানত ভোটের আচরণবিধির জন্য আটকে যাবে এই প্রকল্প। এটা জানার পরেও তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা বালতি বিলির কাজ করছিল। তাই দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে আপত্তি জানানো হয়েছিল। আসলে এই প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়িত হবে না। এদিকে, প্রকল্প উদ্বোধনের দু’মাস পরেও শহরের আবর্জনা প্রকল্পের জায়গায় না যাওয়ায় শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। শহরের খোলা জায়গাতেই আবর্জনা ফেলতে হচ্ছে পুরসভাকে। আবর্জনার স্তূপে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। গরমে ওই আবর্জনা থেকে নানা রোগ ব্যাধি ছড়ানোরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জেলা কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে পুরসভার সদিচ্ছার অভাব আছে। তারজন্যই ভোটের আচরণবিধির কারণকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে।