গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
তবে, দাবি মেটেনি বলে শেষ পর্যন্ত আর ভোট দেওয়ার রাস্তাতেই আর হাঁটেননি ভোটাররা। মুলত, রাস্তা ও ব্রিজের দাবি ছিল তাঁদের। এদিন ভোটকেন্দ্রের সামনে বসে সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল মুলত বিজেপির বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মুর বিরুদ্ধে। বয়কটের খবর পেয়ে ছুটে যান নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সহ এসডিও পঙ্কজ তামাং, বিডিও অংশুমান দত্ত, ফ্লাইং স্কোয়াডের ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন তরফদার সহ পুলিশের আধিকারিকরা। বারবার তাঁরা মহিলাদের ভোট দেওয়ার জন্য বোঝালেও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি।
স্থানীয়রা বলছেন,আদিনা রেলস্টেশন থেকে চাকুলি পার্বতীডাঙ্গা পর্যন্ত ৩৩.৬৮ কিমি রাস্তার কাজ সিপিডব্লিউডি’র অধীনে অনুমোদন হয়েছিল ১৯৮১ সালে। তারপর থেকে দুই প্রান্তে তৈরি হয়েছে প্রায় ২৫.৬৬ কিমি রাস্তা। মাঝখানে বাকি রয়েছে একটি বড় খাঁড়ি ও টাঙ্গন নদীর ওপর দু’টি ব্রিজ সহ পাঁচ কিমি রাস্তার কাজ। বিষয়টি বারবার প্রশাসনের নজরে আনা হলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গ্রামের মহিলারা জোট বেঁধে মাতৃ গণ উদ্যোগ কমিটি গঠন করেন। অরাজনৈতিক এই কমিটির দাবি ছিল রাস্তা ও দুটি ব্রিজের। জেলাশাসক, বিডিও অফিস সহ স্থানীয় বিদায়ী সাংসদকে বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ কমিটির। ফলে কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন, যতদিন গ্রামে রাস্তা ও দুটি ব্রিজ তৈরি হবে না, সবাই ভোট বয়কট করবেন।
গ্রামের বধূ ঝর্ণা বিশ্বাসের কথায়, রাস্তা ও দুটি ব্রিজ দ্রুত করতে হবে। যতদিন সেটা হবে না, আমরা ভোট বয়কট করব। অবিলম্বে কাজ না হলে ভবিষ্যতে বিধানসভা ভোটও বয়কট করার পথে হাঁটবেন ভোটাররা। আগেরবার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর ভোট দিয়েছিলাম। তাতে কোনও লাভ হয়নি। প্রতিবাদে গত পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করেছিলাম। এবার লোকসভাতেও আমরা সিদ্ধান্তে অনড়। প্রশাসনের তরফে ভোট দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু আমরা রাজি হইনি।
এপ্রসঙ্গে খগেন বলেন, সাংসদ তহবিল থেকে কাজ করতে দেয়নি রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলে সমাধান করা হবে।
বিকেলের দিকে ওই কেন্দ্রে অশান্তি শুরু হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের ১৩৫০ জন ভোটারের মধ্যে তিন মহিলাকে প্রশাসনের তরফে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়। যদিও প্রশাসনের দাবি, ওই মহিলারা স্বেচ্ছায় ভোট দিয়েছেন। এরপর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিডিও, এসডিওদের ঘিরে রাখেন। পরে বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, মহিলারা ভোট বয়কট করেছিলেন। ভোট গ্রহণের চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে কাউকে আটকে রাখা হয়। আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছিল। নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে কথোপকথন বিক্ষোভকারী মহিলাদের।-নিজস্ব চিত্র