গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন ভীমাগ্রামের বিপুল পরিমাণ জমি চলে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। সম্পন্ন গৃহস্থরাও নিঃস্ব হয়েছেন রাতারাতি। এদিন ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরাও।
ভীমাগ্রাম ম্যানেজড প্রাইমারি স্কুলে চারটি বুথ। ভোটার সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার। ওই বুথগুলির একটিতে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন স্কুল শিক্ষক আসরারুল হক। তিনি বলেন, বেলা ১২টার মধ্যেই প্রায় ৭০০ ভোটারের মধ্যে ৪০০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বুথের কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাঙন কবলিত এক পরিবারের প্রৌঢ় সদস্য তাজামুল শেখ। তাঁর মন্তব্য, গঙ্গা আমাদের প্রায় সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কেড়ে নিতে পারেনি আমাদের ভোটাধিকার। আমি ও আমার মতো অনেকেই এদিন সকাল সকাল ভোট দিয়ে ফেলেছি।
আরেক ভাঙন কবলিত পরিবারের সদস্য জিয়াউল হক বলেন, ভাঙন আমাদের জীবনে অভিশাপ। কিন্তু ভোট আমরা নিয়ম করে দিয়ে থাকি। ক্ষমতায়যে দলই আসুক না কেন, আমাদের একটাই আর্তি - নদী ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক। সেই আশাতেই আমরা বারবার ভোটের লাইনে দাঁড়াই।
শিলু বিবি, সনকা মণ্ডলরাও বললেন এখন আমরা বীরনগর ম্যানেজড প্রাইমারি স্কুলের সামনের জায়গায় অস্থায়ী ভাবে থাকি। সেখান থেকে এই বুথের দূরত্ব অনেকটাই। আমরা হেঁটেই ভোট দিতে এসেছি। আমরা চাই পুনর্বাসন এবং নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা।
এলাকার যুব তৃণমূল নেতা রাজীব শেখও ভাঙনের শিকার। ঘুরে ঘুরে দেখালেন কীভাবে গঙ্গা গ্রাস করে নিয়েছে তাঁদের বসতবাটি। তবে তাঁর দাবি, সীমিত সাধ্যের মধ্যেও রাজ্য সরকার প্রায় ১৫০টি বাস্তুহারা পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। অবশ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া বাকী রয়েছে।
তাই অনেক আশা নিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়ালেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের অসংখ্য ভাঙন দুর্গত পরিবারের ভোটদাতারা।