গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
ময়নাগুড়ির কন্যাবাড়ির পার্থ রায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫৬১ নম্বর পেয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালানোর জন্য বাবার সঙ্গে সে কৃষিজমিতে গিয়ে কাজ করে। উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রিও করতে যেত। পার্থ একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ছেলের সাফল্যে খুশি হলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার বাবা অমূল্য রায়ের। মঙ্গলবার এ খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হয়। সেই খবর পড়ে পার্থর পড়াশোনার জন্য তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন আইসি।
অন্যদিকে, তমাস ৬৫২ নম্বর পেয়েছে। সে তার বাবার সঙ্গে জোরপাকড়িতে দোকানে বসে। ছোট একটি মুদি দোকান চালিয়ে কীভাবে ছেলেকে উচ্চশিক্ষা দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় বাবা কৈলাসচন্দ্র রায়ের। এ খবর কয়েকদিন আগে ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হয়। দু’জনেই বলেন, থানার আইসি আমাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। পড়াশোনার জন্য তিনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
আইসি বলেন, দুঃস্থ পরিবারের ছেলে পার্থ। তমাসের পরিবারও দুঃস্থ। আগামী দিনে পড়াশোনার জন্য ওদের পাশে থাকব আমি। ওদের বলেছি, তোমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলো। এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের উদ্যোগে ময়নাগুড়ি থানায় বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের চাকরি সংক্রান্ত পড়াশোনার কোচিং সেন্টার খোলা হয়েছে। এখন দু’হাজার ছাত্রছাত্রী নিয়মিত থানা চত্বরে এই বিশেষ কোচিং নিচ্ছে।