সংবাদদাতা, ফালাকাটা: রাস্তার মাঝেই দোকান সাজিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে পথ অবরোধে শামিল হলেন ফালাকাটার ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে বেলা ২টো ৫ মিনিট পর্যন্ত ফালাকাটা শহরের নেতাজি রোড অবরোধ করেন নেতাজি রোডের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, নিকাশি নালার কাজ শেষ করতে হবে। দ্রুত কাজ শেষ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। পরে অবশ্য ফালাকাটা থানার ট্রাফিক ওসি সাদিকুর রহমানের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেন ব্যবসায়ীরা। ফালাকাটা শহরের প্রাণকেন্দ্র নেতাজি রোড সম্প্রসারণ ও দু’পাশে নালা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ছ’মাস আগে। পূর্তদপ্তর কাজ শুরুর করে। কাজ শুরুর আগে পুরসভা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেছিল। বলা হয়েছিল, রাস্তা চওড়া করা হবে, পাশাপাশি রাস্তার দু’ধারে তিন ফুট করে নালা বানানো হবে। এ জন্য প্রায় ৪০ ফুট জায়গা নেওয়া হবে। এই কাজ করতে গিয়ে ট্রাফিক মোড় থেকে পুরাতন চৌপাথি পর্যন্ত বেশকিছু দোকান ভাঙা পড়ে। তিনমাস আগে কাজ শুরু হলেও এখনও কাজ শেষ হয়নি। ফলে তিনমাস ধরে দোকান বন্ধ রেখেছেন পাঁচজন ব্যবসায়ী। এতে রোজগার বন্ধ তাঁদের। ওই দোকানদাররা বিষয়টি লিখিতভাবে পুরসভাকেও জানিয়েছিলেন। তারপরও কাজ শেষ না করে ঠিকাদার সংস্থা মালপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যায় বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে এদিন ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে নেতাজি রোড অবরোধ করেন। ব্যবসায়ী গোবিন্দ ভৌমিক, গোবিন্দ পাল, রাজীব সাহা, অজানু সাহা ও পরিতোষ সরকার বলেন, দোকানের সামনে এখনও নালা তৈরি করা হয়নি। দোকানের সামনে গভীর গর্ত তৈরি করে রাখা হয়েছে। তিনমাস ধরে দোকান খুলতে পরছি না। আমাদের রোজগার বন্ধ এখন। তাই আমরা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়ে এদিন রাস্তায় প্রতীকী দোকান নিয়ে বসি।
ফালাকাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পদক নাল্টু তালুকদার বলেন, ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরুর সময় থেকেই অসহযোগিতা করেছে। কাজ মাঝপথে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেন। পুরসভারও বিষয়টি ভাবা উচিত। দ্রুত কাজ শেষ করা না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামা হবে। এ বিষয়ে ফালাকাটা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার মুহুরি বলেন, এখন নির্বাচনী আচরণ বিধি রয়েছে। তাই সংস্থাটি শিলিগুড়ি চলে গিয়েছে। তবে তারা চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে কাজ করবে বলেছিল। কেন এল না জানা নেই। পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার এবং ওই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করব।