গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পরিপেক্ষিতে কয়েক মাস আগে আব্দুল হককে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় বারবার পুলিসের অভিযান হয়। তখন থেকেই আব্দুল এলাকা ছাড়া হয়ে আছেন। নতুন অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে আব্দুস সাত্তারকে। সেই থেকেই সুজালি এলাকায় আব্দুলের হকের লোকজন ও সাত্তারের লোকেদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই গন্ডগোলের কারণে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। কার্যত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছেই।
আব্দুল হকের বাড়ি ঢুলিগাঁও ঝাঙ্গরপাড়ায়। ওই গ্রমের বাসিন্দাদেরই একাংশ এদিন বিক্ষোভ দেখান। আব্দুস সাত্তার বলেন, ঝাঙ্গরপড়ার বাসিন্দাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় একটি করে বাল্ব আছে। এর ফলে রাতে ওই এলাকার রাস্তায় আলো থাকে। কিন্তু আব্দুলের লোকজন গ্রামবাসীদের বাল্ব খুলে নিতে হুমকি দিয়েছে। হুমকির পরেও বাসিন্দারা বাল্ব খোলেননি। তাই রবিবার রাতে মহম্মদ জাহিদুল নামে একজনের বাড়িতে আগুন দিয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দারা দ্রুত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আব্দুলের লোকেদের এধরনের কার্যকলাপে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
আব্দুল হকের স্ত্রী তথা কমলাগাঁও সুজালি পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের নুরি বেগম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওরা নিজেরাই আগুন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে যাতে পুলিস আমাদের গ্রেপ্তার করে। এর ফলে কয়েক গাড়ি পুলিস এসেছিল। আমাদের বাড়িঘর তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু কিছু পায়নি। বাল্ব খুলে নেওয়ার হুমকি প্রসঙ্গে নুরি বেগম বলেন, আমার স্বামী নিজের টাকা খরচ করে রাস্তা দিয়ে ওই বাল্বগুলি লাগিয়েছে যাতে রাতে চলাচল করতে কারও অসুবিধা না হয়। এখন ওরা আমাদের বিরুদ্ধেই বাল্ব খোলার মিথ্যা অভিযোগ করছে। গোটা বিষয় আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।
ইসলামপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, একজনরে বাড়ির একটি ত্রিপল পুড়ে গিয়েছে। তা নিয়েই এদিন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এলাকায় পুলিস গিয়েছিল। পুরাতন কেসে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।