বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
জীবনে প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে মালদহে ছুটে এসেছেন কলকাতার কলেজে পাঠরতা ইংলিশবাজারের বাসিন্দা নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। জানালেন, প্রবল উত্তেজনা কাজ করছে প্রথমবার ইভিএমের বোতামে চাপ দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচন উৎসবে শামিল হওয়া নিয়ে। ৭০ বছরের রেখা সরকারের আবার শারীরিক সমস্যা রয়েছে বিবিধ। ভোটকেন্দ্রে হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। একমাত্র ছেলে ভোটকর্মী হিসেবে থাকছেন অনেকটা দূরে। তাই নিজে থেকেই পাড়ার এক টোটোওয়ালাকে বলে রেখেছেন দুপুরে আসতে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাও খোলামেলাই জানালেন এই প্রবীণা।
তবে শুধু ভোট দেওয়াই নয়, ভোটদান সেরে বাড়িতে সপরিবারে উৎসবের মেজাজে কাটাতে চান এক বহুজাতিক সংস্থার কর্মী রাহুল ঘোষ। জানালেন, সকাল সকাল ভোট দিয়ে এসে স্ত্রী ও চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া কন্যার জন্য রাঁধবেন দু’টি বিশেষ পদ। ভোটের আগের দিনই তাই রান্নার সব উপকরণ কিনতে বাজারে এসেছেন তিনি।
মালদহের এক বিশিষ্ট সার্জেন জানালেন, অসুখ-বিসুখ তো আর নির্বাচন বোঝে না। ভোটের দিনই তাঁকে সারতে হবে অন্তত দু’টি জরুরি অস্ত্রোপচার। তারই ফাঁকে সস্ত্রীক ভোট দিয়ে আসবেন বলে জানালেন ওই চিকিৎসক।
সকাল সকাল ভোট দিয়ে এসে বন্ধুদের সঙ্গে তাসের আড্ডায় মাতবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রবীণ নাগরিক তপন পাল। তিনি বললেন, অনেক বন্ধুই ব্যবসায়ী। ভোটের দিন তাঁরা দোকান খুলবেন না। হাসিঠাট্টা গালগল্পের মধ্যে দিয়ে তাস খেলতে খেলতে অবশ্য নজর রাখবেন নির্বাচন সংক্রান্ত খবরেও।
ভোটের আগের দিন মালদহ শহরের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন কালিয়াচকের বাসিন্দা রেজাউল হক। অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে সমস্যা হয় বলে হুইল চেয়ার ব্যবহার করেন। তাতে করেই ভোটকেন্দ্রে যাবেন তিনি।
জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ভোটারদের জন্য বুথে বিভিন্ন সহায়ক বন্দোবস্ত থাকছে। ভোটাররা হাসিমুখে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আমরাও আশাবাদী।