সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: উচ্চ মাধ্যমিকে পছন্দের বিষয় পাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের একাংশ একাধিক স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই ঘটনা সামনে আসছে।  ছাত্রছাত্রীদের এই প্রবণতা ঠেকাতে এবার সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির সময় অনলাইন টিসির কপি নিয়ে আসা একপ্রকার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যদিও বাইরের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বেশি প্রযোজ্য বলে জানাচ্ছে জলপাইগুড়ি শহরের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি। তাদের বক্তব্য, দু’টি স্কুলে ভর্তি হয়ে একজন পড়ুয়া একইসঙ্গে দু’টি আসন আটকে রাখে। আসন সংখ্যা সীমিত হলে অন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যেকারণে অনলাইন টিসির কপি নিয়ে আসতে বলা হচ্ছে। যাতে বোঝা যায়, ওই শিক্ষার্থী অন্য কোনও স্কুলে ভর্তি হয়েছে কি না। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ফলপ্রকাশ হতেই জলপাইগুড়ি শহরের প্রায় ১৫টি স্কুলে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। শহরের সেন্ট্রাল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুদীপ্তা সিকদার বলেন, আমাদের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে ২৫টি এবং কলা বিভাগে ১৮০টি আসন। মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের দিনই মার্কশিটের সঙ্গে ছাত্রীদের ভর্তির ফর্ম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে যাদের ভালো নম্বর আছে, তাদের সরাসরি ভর্তি নেওয়া হবে। তবে এবার ভর্তির জন্য অনলাইন টিসি কপি চাওয়া হয়েছে। 
ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ কুণ্ডু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, কলা বা বাণিজ্য যে বিভাগই হোক না কেন, আসন সংখ্যা সীমিত। একজন ছাত্র যদি দু’টি স্কুলে ভর্তি হয়, তাহলে ওই ছাত্র একইসঙ্গে দুই স্কুলের আসন আটকে রাখে। সেকারণে এবার অনলাইনে টিসি চাওয়া হয়েছে। যদিও এটা বেশি প্রযোজ্য যারা অন্য স্কুল থেকে ভর্তি হবে। 
১৩-১৫ মে ভর্তির দিন ঠিক করেছে শহরের সোনাউল্লা হাইস্কুল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনির্বাণ সেন বলেন, বাইরের স্কুল থেকে যেসমস্ত ছাত্র আসছে, তাদের ভর্তির জন্য ওই নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হয়েছে। যাদের ভালো নম্বর আছে, তাদের সরাসরি ভর্তি নেওয়া হবে। 
জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বালিকা গোলে বলেন, ভর্তির সময় অনলাইন টিসি অফিসিয়ালি বাধ্যতামূলক নয়। তবুও বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীর একইসঙ্গে দু’টি স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে এই ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। বাংলা শিক্ষা পোর্টাল চালু হয়েছে। অনলাইন টিসির কপি যখনই ভর্তি হওয়ার সময় জমা করবে, সেখানে থাকা নম্বর দিয়ে পোর্টালে সার্চ করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর তথ্য সামনে চলে আসবে। এভাবেই একসঙ্গে দু’টি স্কুলে ভর্তি হওয়া আটকানো যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।