বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
১৯৭০ সালে ধূপগুড়ির বিদ্যাশ্রম দিব্যজ্যোতি বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠার পরই গ্রামীণ এলাকার পড়ুয়াদের ভরসা হয়ে ওঠে। বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৭০০। আছেন ৪৩ জন শিক্ষক এবং ন’জন শিক্ষাকর্মী। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদীপ মল্লিকের মাথায় হাত পড়ে গত সোমবার। তিনি জানতে পারেন, চাকরি বাতিল হওয়া ২৬ হাজার শিক্ষকের তালিকায় তাদের স্কুলেরই ১৩ জন রয়েছেন। তারমধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির ন’জন শিক্ষক রয়েছেন। তেমনই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির তিনজন শিক্ষকও চাকরি বাতিলের তালিকায়। এছাড়া একজন শিক্ষাকর্মীর নামও চাকরি বাতিলের তালিকায় আছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, গরমের ছুটির পর নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও সংস্কৃত বিষয়ে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে পড়ুয়ারা দিশেহারা হয়ে পড়বে। প্রধান শিক্ষকের দাবি, এই বিষয়গুলি অন্য বিষয়ের শিক্ষকের পক্ষে পড়ানোও সম্ভব নয়। যদিও যোগ্যরা হারানো চাকরি ফিরে পাক, সেই সওয়াল তুলেছেন স্কুলের বাকি শিক্ষকরা। তবে প্রধান শিক্ষক সহ অভিভাবকরা চাইছেন, গরমের ছুটির আগেই শিক্ষক সমস্যা মেটানো হোক। প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের এতজন শিক্ষক চাকরি বাতিলের তালিকায়। কীভাবে ক্লাস হবে ভেবে পাচ্ছি না। স্কুল খোলার আগেই সমস্যার সমাধান হোক। তা না হলে পড়ুয়াদের ভুক্তভোগী হতে হবে। তবে যাই হোক না কেন, অযোগ্য শিক্ষকরা যাতে ফের চাকরি ফিরে না পান সেই কথাই বলছেন অভিভাবক রাজকুমার রায়। তিনি বলেন, অনেক অযোগ্য শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন। তাদের পড়ানোর যোগ্যতা ছিল না। ধূপগুড়ির বিদ্যাশ্রম দিব্যজ্যোতি বিদ্যানিকেতন স্কুলের পরিচালন কমিটি সভাপতি দীনেশ মজুমদার বলেন, যদি ছুটির আগেই সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে স্কুল চালাতে ভীষণ অসুবিধা হতে পারে।