বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
সোমবার গঙ্গারামপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পুনর্ভবা নদীতে সারি সারি ট্রাক্টর দেখা গেল। যে যেমন করে পারছে নদী থেকে বালি তুলে স্টক করা শুরু করেছে। সকাল থেকে নম্বর বিহীন ট্রাক্টর বালি বোঝাই করে শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করলেও পুলিস, প্রশাসন থেকে শুরু করে ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের চোখেই পড়ছে না। সরকারিভাবে যেসব এজেন্সি রয়্যালিটি দিয়ে বালি তুলছে তারাও এনিয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে। শহর এলাকায় অবাধে বালি তোলায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বর্ষায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
গঙ্গারামপুর ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক গোপাল বিশ্বাস বলেন, শিববাড়ি এলাকায় পুনর্ভবা নদীতে যে বালি চুরি হচ্ছে সেটা আমাদের সরকারি ঘাট নয়। অবৈধ উপায়ে বালি চুরি করছে বালি মাফিয়ারা। আমরা ঘটনার খবর পেয়ে গেলেই বালি বোঝাই ট্রাক্টর নদীর উল্টো দিক দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। হাতের সামনে যেগুলিকে পাচ্ছি আমরা জরিমানা করছি। লোকসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের কর্মী সঙ্কট হওয়ায় সেভাবে অভিযানে নামা যাচ্ছে না। আগামীতে অভিযানে নাম হবে।
শহরের উপর দিয়ে অবাধে নম্বর বিহীন বালি বোঝাই ট্রাক্টর সকাল থেকে যাতায়াত করলেও ট্রাফিকের দায়িত্বে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কোনও পদক্ষেপ করছেন না বলে অভিযোগ। পরিবেশপ্রেমী দেবাশিস চাকি বলেন, অবাধে বালি চুরিতে পরিবেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিনের বেলায় শহরে বালি বোঝাই ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্যে যাতায়াত করতে ভয় হয়। যেভাবে পুনর্ভবা নদীর বালি তোলা হচ্ছে তাতে বর্ষায় শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এনিয়ে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।