বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
হাতির হামলাতেই যে মধ্য মাদারিহাটের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর তা নিশ্চিত করেছে বনদপ্তর। রাতে আপন মনে মোবাইলের গেমে ডুবে থাকায় কখন যে হাতির দল পাশে চলে আসে, ওই যুবকের তা মালুম হয়নি। বনদপ্তরের অনুমান, এরপরই হাতির দল ওই যুবককে বাগে পেয়ে শুঁড়ে পেঁচিয়ে এক কিমি দূরে নিয়ে গিয়ে মাটিতে আছড়ে মেরে ফেলে। বনদপ্তর ঘটনাস্থালে হাতির পালের পায়ের ছাপও দেখতে পেয়েছে। তা ছাড়া ওই এলাকায় শনিবার রাতে হাতির যে একটি দল ঘোরাঘুরি করছিল তা নিয়েও বনদপ্তরের আগাম সতর্কবার্তা ছিল। মৃতের কাকা সত্যজিৎ দাস বলেন, আমার ভাইপোর মোবাইলে গেম খেলার প্রচণ্ড নেশা ছিল। আমরা বহুবার বকাবকি করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু এজন্য যে ওর এমন পরিণতি হবে, ভাবতে পারিনি। রাতে বাড়ির পাশে হাতির চিৎকার আমাদের কানে এসেছিল।
রাতে আকাশ ফিরছে না দেখে বাড়ির লোকজন ওকে রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও হদিশ মেলেনি। মৃতের বাবা পেশায় লটারি বিক্রেতা অভিজিৎ দাস বলেন, রাতে ছেলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন শুধু বেজে যাচ্ছিল। কেউ ফোন রিসিভ করেননি। কোথায় ফোন বাজছিল আমরা তা বুঝতে পারছিলাম না। এভাবে ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের এডিএফও রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট, হাতির হামলাতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কারণ, ঘটনাস্থলে হাতির দলের প্রচুর পায়ের ছাপ ছিল।
মৃতের পরিবার কি পাঁচ লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ পাবে? এ বিষয়ে এডিএফও বলেন, মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে। তারআগে কিছু বলা সম্ভব নয়। মাদারিহাট থানার ওসি মিংমা শেরপা বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।