বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে খবর, ব্রিটিশ আমলে কয়লা দিয়ে চলত রোলারটি। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হতো এই রোলার। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরির কাজে এই রোলার ব্যবহার করা হয়েছে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কয়লার বদলে ডিজেলচালিত রোলার আসে। তখন থেকে এই রোলারের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।
পূর্তদপ্তর সূত্রে খবর, রোলারটি চালাতে ৪-৫ জন কর্মীর প্রয়োজন হতো। দু’জন কয়লা ঢালতেন, একজন ইঞ্জিন চালাতেন। স্টিয়ারিং ধরতেও লাগত আলাদা লোক। ডুয়ার্সের বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তা পিচ করার জন্য রোলারটি নিয়ে যাওয়া হতো। রোলারটি তৈরির ছ’বছর পর ভারত স্বাধীন হয়। স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজ আমলে তৈরি রোলারটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেন ফালাকাটাবাসী।
ফালাকাটার প্রবীণ নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মিলন সাহা চৌধুরী বলেন, ইংরেজ আমলে এটাই ছিল এই অঞ্চলের একমাত্র রোলার। ফালাকাটা, মাদারিহাট, হাসিমারা এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতো। এটি সংরক্ষিত রয়েছে। এটি হেরিজেট স্বীকৃতি পেলে ভালো হয়।
ফালাকাটার নাগরিক স্কুলের শিক্ষাকর্মী নারায়ণ দাসের কথায়, এলাকায় ব্রিটিশ আমলের কোনও স্মারকচিহ্ন নেই। প্রচীন নিদর্শনও নেই। সেদিক থেকে ব্রিটিশ আমলের এই রোলারটিকে হেরিটেজ মর্যদা দেওয়া হোক। পূর্তদপ্তরের ফালাকাটা সাব ডিভিশনের (কনস্ট্রাকশন) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অখিলচন্দ্র বর্মন বলেন, কয়লাচালিত রোলারটি এখন অফিস ক্যাম্পাসে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র