যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় রণজিৎ বর্মন বলেন, হাসপাতালের আউটডোর দিয়ে ঢোকার মুখে জঞ্জালের পাহাড় হয়ে আছে। দুর্গন্ধে নাকে-মুখে রুমাল চাপা দিয়ে চলতে হচ্ছে। সুস্থ মানুষও কিছুক্ষণ হাসপাতালে থাকলে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, প্রায় একমাস ধরে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বর্জ্য পরিষ্কার করা হচ্ছে না। দ্রুত সাফাই করার জন্য আমরা দিনহাটা পুরসভাকে চিঠি করেছি। দেখা যাক কবে পুরসভা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, এক-দু’দিনের মধ্যে সমস্ত নোংরা তুলে নিয়ে আসা হবে।
৩০০ বেড বিশিষ্ট দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সিংহভাগ বেডই সর্বক্ষণ ভর্তি থাকে। হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য ও অন্যান্য বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়। হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা সাধারণ বর্জ্য পুরসভা সংগ্রহ করে ডাম্পিং রাউন্ডে ফেলে দেয়। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে এ ব্যাপারে মউ স্বাক্ষরিত রয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিয়মিত বর্জ্য সাফাই করা হয় না। বিগত একমাসে একদিনও জঞ্জাল পরিষ্কার করেনি পুরসভা। সেকারণে হাসপাতাল চত্বরে নোংরার স্তূপ জমে আছে। বর্জ্য থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নির্বাচনের কারণ দেখিয়েই একমাস ধরে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য সম্প্রতি পুরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপর পুরসভা জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ওসব তুলে ফেলা হবে।
দিনহাটা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বর্জ্য ফেলা নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষের বাধা এসেছে। নির্বাচনের সময় ময়লা ফেলা নিয়ে বিতর্ক যাতে না বৃদ্ধি পায় সেজন্য সতর্ক থাকে পুরসভা। শীঘ্রই ওসব বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।