বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মাথাভাঙা মহকুমার নলগ্রাম ও ফলনাপুরে দু’টি কমিউনিটি হলঘর করা হয়েছে। তৈরির পাঁচ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেলেও সেগুলির উদ্বোধন হয়নি আজও। প্রাথমিক বিদ্যালয় দু’টি তৈরি হলেও, একটি চলছে। আরএকটি চালুই হয়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থাও বেহাল। পানীয় জল প্রকল্প হলেও সেই জল পৌঁছয় না সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের বাড়িতে। একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হলেও সেগুলিও চালু হয়নি। সেচের জলের জন্য সোলার বসানো হলেও, সবই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ নিয়ে একাধিকবার জানানো হলেও, কারও ভ্রূক্ষেপ নেই। শুধু কয়েকটি রাস্তা হয়েছে আর বিদ্যুৎ এসেছে। তবুও জমিতে সেচের জন্য যে ট্রান্সফরমারগুলি দেওয়া হয়েছিল সেসব নষ্ট হয়ে রয়েছে। সেচের কাজে সেই বিদ্যুৎও ব্যবহার করতে পারছেন না বাসিন্দারা।
একইসঙ্গে বিগত ন’বছরে মেলেনি জমির খতিয়ান। বাসিন্দারা বলেন, ছিটমহল বিনিময়ের সময়ে আবাস যোজনার সুবিধা সহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ পর্যন্ত তার কোনও সুফল পাইনি আমরা। যেটুকু সুবিধা মিলছে, তা রাজ্য সরকারের দেওয়া।
এ ব্যাপারে বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য কনকচন্দ্র বর্মন বলেন, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময়ের পর থেকে দফায় দফায় সাবেক ছিটমহলের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যকে টাকা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সেই টাকা ছিটমহলে ব্যয় না করে অন্য খাতে খরচ করেছে। বঞ্চিত হয়েছেন সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা। আমরা বিগত নির্বাচনগুলির মতো এবারেও এই বিষয়টি তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছি।
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, কেন্দ্রের মোদি সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়, পূরণ করার কথা ওঁদের মুখেও আসে না। সাবেক ছিটমহলের যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে, তা রাজ্য সরকার করেছে। সেখানকার মানুষ রাজ্য সরকারের সমস্ত সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। ভোটের প্রচারে আমরা সেগুলি তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছি কর্মীদের।