উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মানিকচক থেকে গঙ্গা পার হয়ে পৌঁছতে হয় নারায়ণপুর চরে। দুর্গম ওই চরে বসবাসকারী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অন্যতম ভরসা এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু গঙ্গার প্রবল ভাঙনে ক্রমশ বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ছিল বিদ্যালয়টি। ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় বিদ্যালয়টির অর্ধেকেরও বেশি অংশ। যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে তাও যেকোনও মুহূর্তে নদীতে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা সকলেরই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই বিদ্যালয়ে ১৩৭ জন পড়ুয়া এবং চার জন শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু দ্বীপের মতো চরের একমাত্র স্কুলটি তলিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় উদ্বেগের পাশাপাশি বিষাদও গ্রাস করেছে বাসিন্দাদের।
মালদহ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন বাসন্তী বর্মন বলেন, বিদ্যালয়টিকে আর রক্ষা করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। গত সপ্তাহ থেকেই ধীরে ধীরে গঙ্গা গ্রাস করছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে। পরিস্থিতি আঁচ করে আমি ওই সার্কেলের সাব ইন্সপেক্টরকে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অন্যত্র পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছি। সরানো হয়েছে সব নথিপত্রও। আপাতত কোনও ক্লাব বা সংগঠন বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তির বাড়ির বারান্দায় স্কুলটিকে চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি নিজে ওই চরে যাব। বিদ্যালয়টির জন্য আপাতত একটি ব্যবস্থা করতেই হবে। পঠনপাঠন বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, এবার ভাঙন বড় মাপেরই হচ্ছে। তবে আশার কথা রাজ্য সরকারের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে ভাঙন রুখতে ৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। তবে ভাঙন প্রতিরোধ করা খুব সহজসাধ্য নয়। কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে তো হবে না। তাই রাজ্য সরকার মালদহের ভাঙন প্রতিরোধের জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আমরাও সর্বতোভাবে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি।
উল্লেখ্য, মানিকচক ব্লকের বেশকিছু এলাকায় এবছর লাগাতার ভাঙন চলছে। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের অনেকেই বাড়িঘর নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।