উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, কোনও সামগ্রীর জিআই ট্যাগ পাওয়া গেলে তার নিজস্বতা থাকতে হয়। মালদহের রেশমের নিজস্ব গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে জেলার রেশম জিআই ট্যাগ পেতেই পারে। সেজন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে উৎপাদকরা আবেদন করেছেন। প্রশাসন তাঁদের সমস্ত দিক দিয়ে সাহায্য করেছে। জিআই ট্যাগ মিললে জেলার রেশম শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে। ভিন জেলা এবং অন্য রাজ্যে মালদহের রেশম আলাদা গুরুত্ব পাবে। ফলে সামগ্রিক ভাবে জেলার শিল্পী তথা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলে উপকৃত হবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার আটটি ব্লকে তুঁতের চাষ হয়। তারমধ্যে কালিয়াচক-১ ব্লকে সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ হয়। ওই ব্লকের সুজাপুরে সিল্ক পার্ক রয়েছে। তা মূলত জেলার রেশম শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। কালিয়াচকের বহু মানুষ রেশম শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে। জেলায় কাজ শিখে অনেকেই ভিনরাজ্যে গিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। ফলে মালদহে রেশম শিল্পকে চাঙ্গা করতে পারলে আগামিদিনে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা মনে করছেন। তবে তার জন্য সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে তুঁত চাষি ও রেশম শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা জানিয়েছেন।
মালদহ সেরিকালচার বিভাগের উপ অধিকর্তা অভিজিৎ গোস্বামী বলেন, ভারতে সাধারণত চার ধরনের রেশম পাওয়া যায়। তারমধ্যে শতকরা ৯৫ শতাংশ মালবেরি রেশম। মালদহেও ওই ধরনের রেশম পাওয়া যায়। তুঁত গাছ বহুবর্ষজীবী হয়। বছরে একটি গাছ ঠিকভাবে পরিচর্যা করলে পাঁচ বার পাতা পাওয়া যায়। রেশম চাষিদের আমরা পলু পোকার ডিম সরকারি ভাবে দিয়ে থাকি। চাষিরা বাড়িতে বাঁশের ট্রে’র মধ্যে পোকা পালন করেন। গাছ থেকে পাতা এনে পোকাকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। ২২-২৪ দিনের মাথায় গুটি পাওয়া যায়। সেই গুটি সুজাপুরের বাজারে বেচাকেনা হয়। পরে তা থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সুতো বের করা হয়। তিনি আরও বলেন, মালদহের রেশমের সুতো মুর্শিদাবাদ, বিষ্ণুপুরে রপ্তানি হয়। বালুচরি শাড়ি মালদহের সুতো থেকে তৈরি হয়। অথচ মালদহে রেশম শিল্পের বিকাশ সেভাবে ঘটেনি। জিআই ট্যাগ পাওয়া গেলে অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে।