উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ গ্রামবাসীরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার পুলিস। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিস তালা খোলার ব্যবস্থা করে। এদিন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। গ্রামবাসীদের আন্দোলনের জেরে সেই পরিষেবাও ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকে। দপ্তরের কাজকর্মও লাটে ওঠে।
অন্যদিনের মতো এদিনও সকাল থেকে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চলছিল। হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে এসে ক্যাম্পাসে থাকা জলকাদায় দু’জন বাসিন্দা পড়ে যান। এতে তাঁরা সামান্য চোট আঘাত পান। এরপরেই গ্রামবাসীরা হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে সরব হন এবং ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা বলেন, অনেকদিন ধরেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির দশা বেহাল হয়ে আছে। ঘরের দেওয়ালে বড়বড় ফাটল ধরেছে। ক্যাম্পাসের মূল গেট থেকে হাসপাতালের রুম পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে। বর্ষায় জলকাদা জমে আছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারপাশে জমে থাকে নোংরা, চিকিৎসার বর্জ্য। যা থেকে দুর্গন্ধ বেরয়। কর্তৃপক্ষকে অনেকদিন ধরে সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এদিনের বিক্ষোভ।
তুফানগঞ্জ-২’র বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দেখব। তুফানগঞ্জ-২’র বিএমওএইচ ডাঃ শুভঙ্কর খান বলেন, এদিনের ঘটনাটি শোনার পর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে রাস্তাটি সংস্কার করার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছি। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের ব্যাপারে উপর মহলে আগেই জানানো আছে।
বাকলাবাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর সংলগ্ন গ্রামগুলির হাজার পাঁচেক বাসিন্দা নির্ভরশীল। এখানে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট, কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট, কমিউনিটি হেলথ অফিসার, আশাকর্মী মিলিয়ে মোট ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। তাঁরা শিশু ও প্রসূতিদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে থাকেন। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট সুবর্ণা দেবনাথ বলেন, একটিই মাত্র ঘর। সেখানেই আমরা সকলে বসি, রোগীদের সেখানেই দেখা হয়। আর একটি ঘরের দরকার। এখানকার সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আমরা এনেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মিনতি বর্মন, মালতী শীলশর্মা বলেন, ঘরটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যেকোনও দিন দেওয়াল, ছাদ ভেঙে পড়তে পারে। বৃষ্টি হলে জল কাদার জন্য সমস্যায় পড়তে হয়।