উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। এর মোকাবিলা করতে টেস্ট করা, রোগ নির্ণয় এবং রোগীকে আইসোলেশনে রাখার ব্যাপারে ফের জোর দেওয়া হবে। শুধু দার্জিলিং নয়, উত্তরবঙ্গে প্রতিটি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকেই এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পুজোর একসপ্তাহ আগে এবং পুজোর চারদিন জেলায় করোনার দৈনিক সংক্রমণের হারের মধ্যে তেমন হেরফের হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৫ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হন প্রায় ৭২২ জন। যারমধ্যে শিলিগুড়ি শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৩ জন। কিন্তু, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত জেলায় সংক্রামিতের সংখ্যা ৫৯৩ জন। এরমধ্যে ষষ্ঠীতে ১৩৪ জন, সপ্তমীতে ১৪৫ জন, অষ্টমীতে ১৩২ জন, নবমীতে ১২৮ এবং দশমীতে ৫৪ জন আক্রান্ত হন। যারমধ্যে শিলিগুড়ি শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৫ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, পুজোর সাতদিন আগের আক্রান্তের তুলনায় পুজোর চারদিন আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কম হলেও তা উদ্বেগজনক। পুজোয় ঘোরাঘুরি জন্য তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, সেটা বলা যাবে না। পুজোর আগে কিছুদিন হাট ও বাজারে তেমন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। সাধারণ মানুষও বেপরোয়াভাবে হাট ও বাজার ঘুরে পুজোর কেনাকাটা করেছেন। টোটো, অটো ও বাসে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করেছেন। সম্ভবত তাতেই সংক্রামিত হয়েছেন ওই ৫৯৩ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের ওএসডি বলেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথাও বলব।
পুজোর চারদিনের সংক্রমণের পরিসংখ্যান দেখে বিশেষজ্ঞদের একাংশ রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাঁদের বক্তব্য, পুজোর চারদিন জেলায় সাধারণ মানুষ আরও অবাধে মেলামেশা করেছে। পুজো মণ্ডপে না গেলেও শহরের বিভিন্ন মাঠে ও রাস্তার পাশের দোকানে, রেস্তরাঁয় ভিড় করেছেন। অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না, হাতে গ্লাভস ছিল না। শারীরিক দূরত্বও বজায় ছিল না। বিসর্জন ঘাটে তো দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। কাজেই পুজোর চারদিনে সংক্রামিতের সংখ্যা হয়তো আরও বাড়বে। আগামী এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই তথ্য প্রতিফলিত হবে। ওএসডি বলেন, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী মানুষ ধৈর্য্য ধরে বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু অষ্টমী ও নবমীতে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আমি নিজে বিভিন্ন এলাকা ঘরে এমন দৃশ্য দেখেছি। কিছু এলাকা থেকে ভিড়ের ছবিও এসেছে। এরপর আরও কিছু উৎসব আছে। তাই এখনই টেস্ট, রোগী চিহ্নিতকরণ ও রোগীকে আইসোলেশনে রাখার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, পুজোর চারদিনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেশকিছু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, চারদিনের বিভিন্ন রোগে প্রায় ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৌশিক সমাজদার অবশ্য বলেন, এ ধরনের রিপোর্ট এখনও পাইনি। তাই এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারব না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেব।