কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
ডালখোলা পুরসভার প্রশাসক তথা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলি বলেন, জাতীয় সড়ক বন্ধের আওতার বাইরে আছে। ফলে সেখানে টোটো আটো চলতে পারে। কিন্তু শহরের ভিতরে তিন ও চার চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যদি চলে থাকে তবে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করব। পুর্ণিয়া মোড়ে দোকান বন্ধ করার জন্য পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। শহরে মাংসের দোকান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতর সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, আমরা ব্যবসা বন্ধ রেখেছি। তবুও একাংশ দোকানদার দোকান খোলা রাখছেন। এবিষয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ করুক। আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব। কোভিড ১৯’এর ডালখোলা পুরসভার নোডাল অফিসার শুভদীপ নন্দী বলেন, কয়েকদিন আগে করণদিঘি ব্লকের রানিগঞ্জ এলাকায় একটি শিবির করে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। রিপোর্টে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েক জন ডালখোলা শহরে বাসিন্দাও রয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়িক সংগঠনের মতামতের ভিত্তিতে পুর প্রশাসন গত বুধবার থেকে সাত দিনের ব্যবসায়িক বন্ধ ডাকে। প্রথম দিন থেকেই শহরের মূল বাজার এলাকায় বন্ধের প্রভাব পড়লেও পূর্ণিয়ামোড় ও বিভিন্ন পাড়ায় একাংশ দোকান খোলা থাকছে। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিনে শহরের একাংশ বাসিন্দা মাছ মাংস খেতে অভ্যস্থ। বন্ধের মধ্যেও এদিন উত্তর ডালখোলা সহ বিভিন্ন জায়গায় একাংশ মাংসের দোকান খোলা ছিল। ফলে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রচুর মানুষ এদিন মাংস কেনার জন্য ভিড় জমায়। সেখানে শারীরিক দূরত্বও সঠিক ভাবে মানা হয়নি।
সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরে ডালখোলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ২০০ জনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানে ২০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ব্যাবসায়ীর পরিবারের সকলেই আক্রান্ত হয়েছেন। আলাদা বাড়িতে থাকলেও তাঁর দাদা ও বাবাও আক্রান্ত হন। মৃতের ভাইঝির বিয়ে হয় ডালখোলা শহর সংলগ্ন রানিগঞ্জ এলাকায়। ওই রানিগঞ্জ এলাকায় প্রশাসন শিবির করে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে। জানা গিয়েছে, সেখানেও অনেকের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তারমধ্যে শহরেরও অনেকেই আছে। ফলে ডালখোলায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও অভিযোগ, মাস্ক ছাড়াই অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন।