কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত গাড়িচালকের নাম সুরেন্দ্র সিং। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। খালাসির নাম রাজদীপ সিং, সে পাঞ্জবের বাসিন্দা। এনডিপিএস অ্যাক্টে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলার পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, অসম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ভিনরাজ্যে পাচারের সময় একটি লরি থেকে পাঁচ কেজি আফিম উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ চাকার পণ্যবাহী লরিটি অসম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে উত্তরপ্রদেশের দিকে যাচ্ছিল। ওই লরিতে আফিম পাচার হচ্ছে, এটা গোপন সূত্রে শনিবার মাঝরাতে অসম পুলিস থেকে বার্তা পাওয়ার পর তৎপর হয়ে ওঠে কুমারগ্রাম থানার পুলিস। কুমারগ্রাম থানার আইসি বাসুদেব সরকারের নেতৃত্বে পুলিসের একটি দল কামাখ্যাগুড়ির কাছে ঘোরামারা চৌপথিতে ঘাঁটি গেড়ে বসে। জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং পয়েন্টে সংশ্লিষ্ট নম্বরের গাড়িটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
এরপর পাঞ্জাবের নম্বরযুক্ত পণ্যবাহী লরিটি এলে সেটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিস। দুষ্কৃতীরা লরির কেবিনের গোপন কুঠুরিতে রেখেছিল আফিমের প্যাকেটগুলি। পুলিসকর্মীরা কেবিনের গোপন কুঠুরি কেটে সেগুলি উদ্ধার করে। এরপরেই চালক ও খালাসিকে গ্রেপ্তার করে।
বিভিন্ন সময়ে আন্তঃরাজ্যের দুষ্কৃতীরা মণিপুরের গাঁজা পাচারের সময় আলিপুরদুয়ার জেলা হয়ে এ রাজ্যের সড়কপথকে ব্যবহার করছিল। অসম সীমান্তে কুমারগ্রামের সংকোশ সেতু সংলগ্ন বারোবিশার কাছে জাতীয় সড়কে পুলিসের পাকড়িগুড়ি নাকা চেকিং পয়েন্টে এর আগে বহুবার পুলিস গাঁজা উদ্ধার করেছে। তবে সম্ভবত এবারই প্রথম আফিম উদ্ধার হল।
দুষ্কৃতীরা অসমের কোথা থেকে ও উত্তরপ্রদেশের কোথায় এই দামি আফিম পাচার করছিল তা বিশদে জানতে পুলিস ধৃতদের সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতের কাছে আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছে। তারপরেই আফিম পাচারকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আন্তঃরাজ্যের মূল চাঁইদের ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিস।