কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
গ্রাম থেকে বেরতে গেলে এক হাঁটু জল ভেঙে বেরতে হয়। দূষিত জলে বিষাক্ত পোকামাকড় ও সাপের উৎপাত বাড়ছে। জল জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। জমা জলের জন্য বাড়ছে মশার উৎপাত। এবিষয়ে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নবকুমার দাস বলেন, আমরা পঞ্চায়েত থেকে গত বছর নর্দমা বানিয়ে দিয়েছি। রাস্তায় ব্রিক সোলিং করে দিয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও জল জমে থাকছে। কারণ, এখানে নিকাশি ব্যবস্থা একদমই বেহাল। ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে এলাকার বিধায়ক, সকলকেই সমস্যার কথা বলেছি।
যদুপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আয়েষা ইয়াসমিন বলেন, স্থায়ী নিকাশির ব্যবস্থা না করলে এলাকার জমা জল বের করা যাবে না। এর জন্য প্রচুর টাকা দরকার। এত টাকা আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের তহবিলে নেই। আমরা বিধায়ক ও বিডিওকে সমস্যার কথা বলেছি। তখন প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম। কিন্তু এখনও কিছুই হয়নি।
এছাড়াও আশেপাশে যে বিলগুলি রয়েছে, সেগুলি ভরাট করে ফেলছে এক শ্রেণীর জমি মাফিয়া। রাতের অন্ধকারে বিলগুলি মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। যদিও সরকারি নির্দেশ রয়েছে, বিলগুলি ভরাট করা যাবে না। বারবার এ ব্যাপারে জনিয়েও এর কোনও সুরাহা হয়নি। এ ব্যাপারে ইংলিশবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরী বলেন, আমরা বিধায়ককে নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছিলাম। স্থায়ী নিকাশির জন্য একটা বড় নর্দমা তৈরির ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যে জেলায় প্ল্যান এস্টিমেট জমা দিয়েছি। অর্থের অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
গ্রামবাসী সুজিত মণ্ডল বলেন, আমাদের এই এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। রাস্তায় জল ঢুকে যাচ্ছে ঘরে। ফলে আমাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। গ্রাম থেকে বড় রাস্তায় যেতে গেলে নোংরা জলের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই জল প্রায় দুই মাস ধরে জমে আছে। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এরপর রাস্তা অবরোধ করব বা পঞ্চায়েত প্রধানের অফিস ঘেরাও করব।
স্থানীয় বধূ সুমিতা মণ্ডল বলেন, আমার বাড়ির উঠোনে জল জমে আছে প্রায় দু’মাস ধরে। সন্ধ্যা হলেই মশা ও পোকামাকড়ের উৎপাত শুরু হয়ে যায়। জমা জল পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। অসুখবিসুখ লেগেই রয়েছে।