কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এই পরিস্থিতিতে আবার শুরু হয়েছে সামাজিক অনুষ্ঠান বাতিল করার পালা। অনেকেই বিয়ের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিচ্ছেন। এদিকে যে পরিবারগুলির একেবারেই দোরগোড়ায় বিয়ে, তারা কোনওরকমে আয়োজন করে নিয়মরক্ষা করছেন।
বালুরঘাট শহরের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা আকাশ ঘোষ। করোনা সংক্রমণের জেরে আগেও বিয়ের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আনলক শুরু হওয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আজ, সোমবার ছিল সেই বিয়ের নয়া লগ্ন। পঞ্চাশজনকে আমন্ত্রণ করা যাবে ধরে নিয়ে আয়োজন জোরকদমে চলছিল। কিন্তু হঠাৎ লকডাউনের জেরে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আকাশবাবু বলেন, আগে একবার লকডাউনের জেরে বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছি। এবার ভেবেছিলাম নিজেদের কিছু বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের লোকজন নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করব। কিন্তু এখন আবার আমন্ত্রিতদের মানা করে দিচ্ছি।
বালুরঘাট শহরের শিবতলী এলাকার বাসিন্দা সীমা রায় নিজের মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। দিন দু’-এক বাদেই বাড়িতে বিয়ে রয়েছে। তারই মাঝে হঠাৎ করে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় থানায় এসেছেন বিয়ের অনুমতি নিতে। এদিকে বাজারহাট বন্ধ। ফলে অনেক কেনাকাটি এখনও সম্পন্ন হয়নি। এবিষয়ে সীমাদেবী বলেন, লকডাউনের জন্য অনেকবার বিয়ের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিয়েছি। তবুও সমস্যা মিটল না। বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় দামও বিয়ের অনুমতি নিতে থানায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, নিজের বিয়ের আয়োজন করতে ভয় পাচ্ছি। ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
লকডাউনের জেরে অনেকে আবার বিয়ের দিনক্ষণ বাতিল করে দিয়েছেন। এমনই একজন বালুরঘাটের ভাটপাড়া এলাকার পরিতোষ বর্মন। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম আনলকে পর্বে বিয়ের অনুষ্ঠান করব। কিন্তু লকডাউনের জন্য বিয়ের দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এবিষয়ে বালুরঘাটের মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকছে। তবে সরকারি নিয়ম অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহর ও ব্লক জুড়ে লাফিয়ে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শহরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে পুর এলাকার ১০টি ওয়ার্ডকে কন্টেইন্টমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেসব এলাকায় গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। শহরের যেসব বাসিন্দার বাড়িতে এর মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন।