শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
এদিন বুনিয়াদপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডোবাপাড়া এলাকায় বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডে একটি নয়বনজুলি টাঙন নদীতে গিয়ে পড়েছে। নদীর জল বাড়লেই সেই নয়ানজুলি দিয়ে জল এসে এলাকা প্লাবিত হয়।
গঙ্গারামপুর মহকুমা সেচ দপ্তরের আসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত পাল বলেন, গঙ্গারামপুর মহকুমায় পুনর্ভবা নদী বিপদসীমার নীচেই রয়েছে। তবে টাঙন নদীর জল এখন বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। কোথাও বাঁধের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। আমরা নিয়মিত নদী বাঁধ পরিদর্শন করছি। আমরা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তৈরি রয়েছি।
বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন বলেন, আমাদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে যে এলাকার কিছু বাড়ি প্লাবিত হয়েছে, তা বন্যার জন্য হয়নি। ওই এলাকা প্রতিবছরে প্লাবিত হয়। নয়ানজুলির জল বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি বাড়িতে জল ঢুকে পড়ে। টাঙন নদীর ধারেই বুনিয়াদপুর শহর অবস্থিত হওয়ায় আমাদের নজর রয়েছে। আমরা পর্যাপ্ত ত্রাণ নিয়ে তৈরি রয়েছি।
অপরদিকে, গঙ্গারামপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজার স্কুল রোড এলাকায় গঙ্গারামপুর-তপন রাজ্য সড়ক জলমগ্ন পড়েছে। সকাল থেকে শহরবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। অবশেষে পুরসভার উদ্যোগ নিয়ে বৃষ্টির জলে প্লাবিত এলাকা থেকে জল নামিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রশাসক অমলেন্দু সরকার বলেন, সারা রাত প্রবল বর্ষণের ফলে আমাদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছিল। জল যাওয়ার রাস্তা না থাকায় জল আটকে গিয়েছিল। খবর আসতেই পুরসভার কর্মীদের দিয়ে জল নামিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। পুনর্ভবা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সেচ দপ্তর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুনর্ভবা নদীর লক গেটগুলি বালির বস্তা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে জল নামতে শুরু করলেও লক গেটগুলি খুলে না দেওয়ায় শহরের জল নদীতে যেতে পারছিল না।
গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দা অনিল সরকার বলেন, শহরের বড়বাজার, কলেজ এলাকার রাজ্য সড়কের উপরে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। প্রতি বছরই ভারি বর্ষণ হলেই এলাকা প্লাবিত হয়। এদিন চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে শহরবাসীকে। রাজ্য সড়কে যান চলাচলে সমস্যা হয়।