শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
দুই শহরের সদরঘাট, বালুচর, মির্জাপুর নীচু পাড়া এলাকায় মহানন্দার জল ঢুকে পড়ায় নদী পাড়ের বাসিন্দারা সংরক্ষিত, উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত দু’দিনে নদীর জল হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। অনেকেরই বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এবিষয়ে জেলা সেচ দপ্তরে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, মহানন্দা নদীর জল বাড়ছে। তবে জেলার কোনও নদীর জলস্তরই এখনও বিপদসীমা পার করেনি। মহানন্দায় যেখানে ভাঙন হয়েছিল, সেখানে ভাঙন রোধে কাজ চলছে। আমরা নদীগুলির গতিবিধির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছি। জানা গিয়েছে, মহানন্দা ছাড়াও গঙ্গার জলস্তর ২২.৯৫ মিটার এবং ফুলহারের জলস্তর ২৬.৪০ মিটার ছিল এদিন।
মঙ্গলবাড়ির মির্জাপুর নীচু পাড়ার বাসিন্দা সীমা দাস বলেন, অসংরক্ষিত এলাকায় বাড়ি থাকায়, প্রতিবছর বর্ষায় সবার আগে আমরাই বাড়িছাড়া হই। এদিন ঘুম থেকে উঠে পরিস্থিতি খারাপ দেখে উঁচু জায়গায় বাড়ির জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইংলিশবাজার শহরের বালুচরের নদী পাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা অতনু তরফদার বলেন, বেশ কিছু বাড়ি ডুবে গিয়েছে। অনেকটা জল বেড়ে যাওয়ায় মানুষ অসংরক্ষিত এলাকা ছেড়ে দিচ্ছেন। আরও জল বাড়লে আমাকেও বাড়ি ছাড়তে হবে।
পুরাতন মালদহ পুরসভার পুর প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, মহানন্দার জলস্তর বেড়েছে। তবে এখনই বানভাসির মতো পরিস্থিতি হয়নি। এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দা নদীর জলের বিপদসীমা হচ্ছে ২১ মিটার। এদিন সকালেই জলের স্তর ২০.২০ মিটারের উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই নদীতে হঠাৎ করে জলের চাপ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইংলিশবাজার শহরের নদী তীরবর্তী অসংরক্ষিত এলাকায় আগে থেকে অল্প অল্প জল ঢুকছিল। এদিন নতুন করে জল বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বাড়িছাড়া হন। কার্যত একই অবস্থা পুরাতন মালদহ শহরের মির্জাপুর ও বাচামারি এলাকার বাসিন্দাদেরও।
ইংলিশবাজার ব্লকের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের তজিবুর রহমান বলেন, নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় টেকরা গ্রামের প্রায় একশ’টি পরিবার সঙ্কটের মুখে রয়েছে। এলাকায় নতুন করে ভাঙন হয়েছে। সেখানে সংস্কারের কাজ চললেও আমরা চিন্তিত। একটি হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের পোল যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানান হয়েছে।