বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু, গুজরাত ও দিল্লি এই পাঁচটি রাজ্যে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি থেকে আসা পরিযায়ীদের উপর নজরদারি চালাতে গত ২৭ মে জেলা স্তরে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। সেই মতো সোমবার দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ওই কমিটি গঠন করে। এদিন চম্পাসারির স্টেট গেস্ট হাউসে ওই কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক ছাড়াও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার ও বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ, শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য, এসজেডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল, এসজেডিএ’র বোর্ড সদস্য রঞ্জন সরকার, দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার অমরনাথ কে, ওই কমিটির মেম্বার কনভেনার তথা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য সহ জেলার সমস্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকরা ছিলেন।
দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকের পর টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক বলেন, করোনা কবলিত পাঁচটি রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ীদের রাখতে এলাকায় এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হবে। এ জন্য পাহাড় ও সমতলে প্রাথমিক স্কুল ও সরকারি ভবন সহ ৭২টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট সেন্টারগুলিতে পরিযায়ীদের রাখা হবে। তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজে লাগানো হবে।
বিভিন্ন সময় জেলা থেকে প্রচুর মানুষ কর্মসূত্রে পাড়ি দিয়েছেন ওই পাঁচটি রাজ্যে। এর বাইরে কেউ আবার পড়াশুনা, কেউ চিকিৎসার জন্য রাজ্যগুলিতে গিয়েছেন। এখন তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি থেকে জেলায় ফিরে আসছেন। করোনা মোকাবিলায় তাঁদের উপর নজরদারি চালাতেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই রাজ্যগুলি থেকে জেলায় ফিরছেন প্রায় ৫০০০ পরিযায়ী। ইতিমধ্যে কয়েকশো পরিযায়ী চলেও এসেছেন। জেলার মাটিতে পা রাখার পর এখন থেকে তাঁরা সরাসরি বাড়িতে যেতে পারবেন না। জেলাশাসক বলেন, ওই বাসিন্দাদের প্রথমে
সাতদিন প্রতিষ্ঠানিক বা মহল্লা কোয়ারেন্টাইনে এবং পরবর্তী সাতদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা কড়াভাবে পালন করা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক, মহল্লা বা এলাকা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হয়েছে অনেকদিন আগেই। প্রশাসন সূত্রের খবর, বর্তমানে জেলার পাহাড় ও সমতলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা ১৬টি। মিরিক মহকুমায় মহল্লা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা ১২৮টি। সংশ্লিষ্ট সেন্টারগুলিতে বর্তমানে আবাসিকের সংখ্যা প্রায় ২৫০০। এর বাইরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩০৩ জন। তব মিরিক মহকুমায় মহল্লা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রশাসনিক মহলে সাড়া ফেলেছে।
মিরিকের মহকুমা শাসক অশ্বিনী রায় বলেন, শহর ও গ্রামবাসীদের নিয়ে মহল্লা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি গড়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সেগুলিতে ত্রিপল, বেডশিট, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও জিআরের চাল দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় গ্রামবাসীরা নিজেরাই আবাসিকদের পছন্দমতো খাবারের ব্যবস্থা করছেন।