বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
বিএএমই সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বাংলাদেশি ব্রিটিশরা। তাঁদের মৃত্যুর হার শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের প্রায় দ্বিগুণ। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই হার ১০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে কোন পন্থায় এই অসাম্য দূর হবে তার কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা জানানো হয়নি ওই রিপোর্টে। যা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে চিকিৎসক সমাজের একাংশ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিকিৎসা ক্ষেত্র, সামাজিক পরিষেবা, গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত এই সম্প্রদায়ের মানুষই বেশি করে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। এ নিয়ে ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কাউন্সিল চেয়ার ডাঃ চাঁদ নাগপাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করতে এবং উপায় খুঁজে বের করতে এপ্রিলের প্রথম দিকেই বৈঠক করেছিল বিএমএ। কিন্তু, তারপর প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এই রিপোর্ট এখন অর্থহীন। এটা একটা পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। সমস্যা সমাধানের কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা এর মধ্যে নেই।’
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ানস অব ইন্ডিয়ান অরিজিন (বিএপিআইও)-এর ডাঃ রমেশ মেহেতা ‘বর্তমান’-কে বলেন, ‘এই পর্যালোচনা রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়াযর জন্য সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। যদিও এতে লাভ কিছুই হয়নি। আমাদের সংগঠনের তরফে দু’টি সমীক্ষা আগেই করা হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছিলাম, এদেশে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে জাতি। পিএইচই-র রিপোর্টে নতুন কিছুই পাইনি। জানি না এই রিপোর্ট সরকারকে কীভাবে সাহায্য করবে।’
লেবার পার্টির শ্যাডো উওমেন অ্যান্ড ইকুয়ালিটিজ সেক্রেটারি মার্শা ডি কর্ডোভা বলেন, এই রিপোর্ট প্রমাণ করেছে জাতিগত বৈষম্যই করোনার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রিপোর্টে এই বৈষম্য দূরীকরণের জন্য কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে বিএএমই মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৎপর হওয়া উচিত সরকারের।