বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
সব্জি চাষিরা বলেন, করোনার জন্য লকডাউনের ফলে এমনিতেই বাইরের পাইকাররা না আসায় চাষের খরচের টাকাই উঠছিল না। সম্প্রতি ভেটাগুড়ির সাপ্তাহিক হাটে দাম না পেয়ে তাঁরা টম্যাটো, ঢ্যাঁড়স রাস্তায়, নদীর জলে ফেলে দিয়েছিলেন। লকডাউন ওঠায় সব্জির দাম ধীরে ধীরে বাড়ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করে দেওয়ায় ফের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। চাষিদের অবস্থার কথা ভেবে প্রশাসনের কর্তাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
ভেটাগুড়ির সব্জি চাষি সুজিত দত্ত বলেন, আমি সোয়া বিঘা জমিতে বেগুন, দশ কাঠা জমিতে পটল এবং ছ’কাঠায় জমিতে লঙ্কা চাষ করেছি। লকডাউনের জন্য এবারে সব্জির দাম মিলল না। চাষের খরচই এখনও ওঠেনি। এরপর সম্প্রতি ঝড়ে প্রচুর সব্জি নষ্ট হয়েছে। লকডাউনে উঠায় খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু করোনা জন্য সোমবার থেকে হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন কোথায় সব্জি বিক্রি করব সেটাই চিন্তার বিষয়। আরএক সব্জি চাষি সুভাষ বর্মন বলেন, আমি একবিঘা জমিতে লঙ্কা ও ১০ কাঠা জমিতে পটল লাগিয়েছি। লকডাউনের জন্য গাড়িভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় সব্জি বাইরে পাঠাতে পারিনি। এবার গ্রামের হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়লাম। প্রশাসনকে আমাদের সমস্যা বোঝা উচিত।
ভেটাগুড়িতে সাপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার করে হাট বসে। ভেটাগুড়ি দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাশাপাশি মাতালহাট, বুড়িরহাট, পুঁটিমারি, দেওয়ানহাট, আঠারোনালা, ধুমপুর, জিরানপুর, লক্ষ্মীরবাজারে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল গিয়ে বিক্রি করেন। কিন্তু সবক’টি হাটটি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন।
ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রতন বর্মন বলেন, দিনহাটা মহকুমায় দিনদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ভেটাগুড়িতে একজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাজারে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছিল না। তাছাড়া ভেটাগুড়িতে যাতে নতুন করে আর কেউ সংক্রমিত না হন সেইজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের কথা ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমারা ধাপে ধাপে এই নিয়ম শিথিল করব। ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহের দু’দিন হাট বন্ধের পাশাপাশি চারদিন পুরোপুরি বাজার বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার, রবিবার বাজার খুলবে। তবে সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কেনাকাটা করতে হবে। ওই তিনদিন বাজার খুলেও বাজারের মধ্যে মাছ, মাংস, সব্জি, ফলের দোকান দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে সামাজিক দূরত্ব বজয় রেখে ওসব বিক্রি করতে হবে। নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ দিয়েছে। -ফাইল চিত্র