বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
দেশের ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যখন করোনার প্রকোপ বাড়ছিল সেই সময়েও কোচবিহার জেলায় করোনা আক্রান্তের তেমন কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মুম্বই থেকে চিকিৎসা সেরে ফেরার পথে মৃত এক বাংলাদেশি যুবকের দেহে করোনার সন্ধান প্রথমে মিলেছিল। পরে মৃত ওই যুবকের বাবার দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। গত মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ওই দু’টি কেস ছাড়া কোচবিহার জেলায় করোনা সংক্রমণের আর কোনও খবর ছিল না। স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে জেলাজুড়ে শিবির করে, মোবাইল ভ্যান পাঠিয়ে প্রচুর পরিমাণে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। প্রতিদিনই সেই রির্পোট নেগেটিভ আসছিল। ফলে প্রশাসন স্বস্তিতে ছিল। জেলাবাসীও এতটা আতঙ্কিত ছিলেন না। কিন্তু এখন কোচবিহারে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষের দিকে কোচবিহারে একসঙ্গে ৩২ জনের দেহে করোনা পজিটিভের রিপোর্ট জেলায় এসে পৌঁছায়। ওই সময় থেকেই জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। সেই ৩২ জনের মধ্যেই আবার ২৬ জনের পরবর্তী নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পাশাপাশি এরপরেই প্রথমে ৩৭ জন ও পরে আরও ১৮ জনের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এবার ২৯ জনের করোনা পজিটিভ আসায় আতঙ্ক ও উদ্বেগ আরও বাড়ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও আরও পরিযায়ী শ্রমিকের আসার কথা রয়েছে। প্রায় দিনই নিউ কোচবিহার স্টেশনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনে চেপে শ্রমিকরা আসছেন। তাঁরা প্রশাসনের নিয়ম মেনে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন। নিয়ম মেনে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর এখান থেকেই এখন বেরিয়ে আসছে পজিটিভ রিপোর্ট। কিন্তু কোনওভাবেই যাতে স্থানীয় এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেইদিকে প্রশাসন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় মোট ৫১টি জায়গাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করে সেই সব জায়গায় যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা সহ অন্যান্য নিয়ম বলবৎ করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে।